দৈনিক দুধের চাহিদা ২৫০, মানুষ পান করছে ১৫৮ মি.লি.
বর্তমানে দেশে মাথাপিছু দৈনিক দুধের চাহিদা ২৫০ মিলিলিটারের বিপরীতে মানুষ মাত্র ১৫৮ মিলিলিটার দুধ পান করছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে আয়োজিত ‘বাফেলো ডেভেলপমেন্ট ফর দ্য প্রোডাকশন অব সেফ ফুড অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ তথ্য জানান।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু।
সেমিনারে বক্তারা জানান, বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক দুগ্ধ উৎপাদন ও রফতানিকারক দেশ ভারতের ৫৬ শতাংশ, নেপালের ৭০ শতাংশ এবং পাকিস্তানের ৬৩ শতাংশ দুধ আসে মহিষ থেকে। বাংলাদেশের মোট উৎপাদিত দুধের ৪ শতাংশ আসে মহিষ থেকে।
মেসিনারে জানানো হয়, গরুর দুধের চেয়ে মহিষের দুধ ও মাংস যেমন সুস্বাদু তেমনই এতে কোলেস্টেরলও অনেক কম। তাই ব্যাপকভাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মহিষের উৎপাদন করে দেশ-জাতির আমিষের চাহিদা পূরণ করছে সেসব দেশ। অথচ আমাদের দেশে একসময় মহিষের সংখ্যা ৪২ লাখের মতো থাকলেও এখন তা মাত্র ৬ লাখে ঠেকেছে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে মহিষের জাত উন্নয়ন, ব্যাপক উৎপাদন ও পরিচর্যার ব্যাপারে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর জোর দেওয়া হয় সেমিনারে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিম্যাল ব্রিদিং অ্যান্ড জেনেটিক বিভাগের অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক। প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) জিএম শরীফ আহমেদ চৌধুরী ও কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম সম্প্রসারণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক বেলাল হোসেন।
মহিষের সংখ্যা কমে যাওয়া এবং বিনা চিকিৎসায় এদের ব্যাপক মড়কের ব্যাপারে ভেটেরিয়ানদের সক্রিয় হওয়া এবং প্রাণিসম্পদ অধিদফতরসহ বেসরকারি খামারি ও উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী। তিনি জানান, মহিষের দুধ ও মাংস খাওয়ার ব্যাপারে আমাদের রুচির ক্ষেত্রে যেমন মানসিকতার পরিবর্তন দরকার তেমনই বাজারে মহিষের মাংসকে গরুর বলে চালানোর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক হীরেশ রঞ্জন ভৌমিকের সভাপতিত্বে সেমিনারে মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মণ্ডল, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নাথুরাম সরকার ও মহিষ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডা. রফিকুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
আরএমএম/আরএস/পিআর