পুনর্বাসন ছাড়া বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ বন্ধের আহ্বান
নগর গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেছেন, পুনর্বাসন ছাড়া বস্তি উচ্ছেদ করা যাবে না। তবে হাইকোর্টের এনিয়ে রায় থাকার পর বস্তি উচ্ছেদ করা অমানবিক ও আইনের লঙ্ঘন। ঢাকা সবার ‘ধনী-দরিদ্রদের’ পরিবহন শ্রমিক, গার্মেন্টস কর্মী, হকার, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, নিম্ন আয়ের মানুষরা উন্নয়নের চালিকা শক্তি।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে 'বস্তি উচ্ছেদ ও নগর দরিদ্রদের বসতির অধিকার : বর্তমান পরিস্থিতি ও বাজেটে পুনর্বাসনের অন্তর্ভুক্তি' শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।
স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য উন্নত জীবন ব্যাবস্থা শীর্ষক অন্য একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এস.এ.এম ফজলুল কবীর। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. রাশিদুল ইসলাম। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক এম. এম. আকাশ, ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম নাজিম, খন্দকার রেবেকা সান-ইয়াত, আশিকুর রহমান, লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, মোস্তফা কাইয়ুম খান, স্থপতি সাদিয়া শারমিন, ফাতেমা আক্তার প্রমুখ।
সেমিনারে কাপ-এর চেয়ারপার্সন ডা. দিবালোক সিংহ’র সভাপতিত্বে বিশিষ্ট সাংবাদিক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় অবস্থানপত্র পাঠ করেন মো. আখতারুজ্জামান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ নগর গবেষক নজরুল ইসলাম আরো বলেন, বসতির অধিকার মানবাধিকার, সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা। সাংবিধানিক অধিকারের আলোকে স্বল্প আয়ের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বসতির অধিকার বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ, বস্তি উচ্ছেদ না করা এবং বাজেটে পুনর্বাসনের বিষয়ে অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানান তিনি।
ডা. দিবালোক সিংহ বলেন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ছিল ধনী-গরিবের বৈষম্য দূর করা এবং গরিব মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন স্বল্প ব্যয়ে বস্তিবাসীদের আবাসন তৈরি করে ন্যূনতম ভাড়া প্রদানের ভিত্তিতে সরকারের পক্ষ থেকে পুনর্বাসন করা হবে। এক্ষেত্রে সরকার এবং তৃণমূল বেসরকারি সংগঠনসমূহের যৌথ উদ্যোগে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ডাটাবেজ তৈরি করে পুনর্বাসনের কার্যকর উদ্যেগ গ্রহণ করা যায়।
এফএইচএস/এসএইচএস/এমকেএইচ