‘কল্পনা চাকমা অপহরণ বিচারহীনতার জলজ্যান্ত উদাহরণ’
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেছেন, ‘কল্পনা চাকমা অপহরণের ২৩ বছর। ২৩ বছরে কল্পনা চাকমা হত্যার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া রাষ্ট্রের ব্যর্থতা। এর দায় রাষ্ট্রকে নিতেই হবে। কল্পনা চাকমা অপহরণ বিচারহীনতার একটি জলজ্যান্ত উদাহরণ। এটা রাষ্ট্রীয় নির্মমতার প্রতীক। পাশাপাশি কল্পনা নিজে আমাদের কাছে সংগ্রামেরও প্রতীক।’ তিনি বলেন, ‘আমরা অনুন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হয়েছি। এখন উন্নত দেশের পথে আছি।’ সুলতানা কামালের প্রশ্ন, ‘আমরা উন্নত হচ্ছি বটে, কিন্তু সভ্য হচ্ছি কি?’
‘কল্পনা চাকমা অপহরণের ২৩ বছর: ন্যায়বিচারের দাবি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে বুধবার এর আয়োজন করে হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ) ও বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক।
সভায় বক্তব্য দেন নারীনেত্রী রাখী দাশ পুরকায়স্থ, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সদস্য দীপায়ন খিসা, সাংবাদিক বিপ্লব রহমান, আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সদস্য সচিব চঞ্চনা চাকমা। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ ও সঞ্চালনা করেন ফাল্গুনী ত্রিপুরা। সভাপতিত্ব করে মনিরা ত্রিপুরা।
সুলতানা কামাল বলেন, ‘দেশে ক্ষমতার রাজনীতির পালাবদল হয়েছে, কিন্তু মানবিক অধিকারের বিষয়ে আমরা কতটা উন্নতি করতে পেরেছি—এই প্রশ্ন আজ করতেই হবে। মানবিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনো সরকারই কার্যকর কিছু করেনি।’
সভায় নারীনেত্রী খুশী কবির বলেন, ‘কল্পনার কণ্ঠস্বর রোধ করতে তাকে শিক্ষা দিতে চেয়েছিল দুর্বৃত্তরা। কিন্তু কল্পনা আমাদের অগ্নিশিখায় পরিণত হয়েছেন।’
কল্পনা চাকমার অপহরণের সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত এ ঘটনা রাষ্ট্রের ক্ষত হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেন আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং। তিনি বলেন, ‘২৩ বছর আগে একটি মেয়ে নিরুদ্দেশ হয়েছে। তাকে খুঁজে দেওয়ার দায়িত্ব তো রাষ্ট্রেরই।’
সভায় সংসদ সদস্য লুৎফুননেছা খান বলেন, কল্পনা প্রতিবাদী নারী ছিলেন। কল্পনার অপহরণের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হওয়া দরকার রাষ্ট্রের স্বার্থেই।
এফএইচএস/এসএইচএস/এমএস