বিনোদনের নেই তেমন সুব্যবস্থা তবুও প্রিয় হাতিরঝিল
ঈদের তৃতীয় দিনেও রাজধানীর হাতিরঝিলে হাজারো মানুষের ঢল নামে। গত দুই দিনের মতো আজও সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষজন হাতিরঝিলে ঘুরতে আসেন। দুপুরের পর থেকে চক্রাকার হাতিরঝিলে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। সর্বত্রই দেখা যায়, কেবল মানুষ আর মানুষ।
সরেজমিন দেখা গেছে, দীর্ঘ লাইন ধরে কেউ ইঞ্জিনচালিত নৌকায় বা চক্রাকার বাসে চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, কেউ সবুজ গাছপালা বেষ্টিত সুন্দর পরিবেশে ফুটপাতে পরিবার পরিজন নিয়ে হাঁটছেন, কেউ ওয়াটার বাসে চড়ছেন আবার কেউবা ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখার অপেক্ষা করছেন।
অন্য সময় হাতিরঝিলের ফুডকোডগুলো প্রায় জনশূন্য থাকলেও আজ বিকেলে প্রতিটি ফুডকোডে ছিল অসংখ্য মানুষের উপস্থিতি। এ সময় খেলনা, ওজন মাপার মেশিন, ভাসমান ফাস্টফুড, চটপটি, ফুচকা, আচার ও ঝাল মুড়িসহ বিভিন্ন পণ্যের হকারদের উচ্চস্বরে হইচই করে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দেখা যায়।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) জমিতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তৈরি হাতিরঝিলে এখনও পর্যন্ত বিনোদনের তেমন কোনো সুব্যবস্থা না থাকলেও ইতোমধ্যেই ঈদ পূজা-পার্বণসহ সরকারি বিভিন্ন ছুটির দিনে হাতিরঝিলে সাধারণ মানুষের কাছে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
আজ সরেজমিন দেখা গেছে, হাতিরঝিল চক্রাকার বাস ও ওয়াটার বাসে দীর্ঘ লাইন। এ দুটির কোনোটিতেই উঠতে না পেরে অনেকেই ফুটপাত ধরে হাঁটছেন।
রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বিকেলে স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, রাজধানীতে শিশুদের নিয়ে নির্মূল পরিবেশে ঘুরে বেড়ানোর জায়গার খুবই অভাব। তবে হাতিরঝিলের চারপাশে সবুজের সমারোহ, গাছে রঙিন ফুল ও পাখিদের কলরব শুনতে খুবই ভালো লাগে। এ কারণে ঈদ ছাড়াও ছুটির দিনে প্রাইভেটকার নিয়ে সপরিবারে হাতিরঝিলে ঘুরতে আসেন তিনি।
শাহাদাত হোসেন জানান, হাতিরঝিলে ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখতে খুবই ভালো লাগে।
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থেকে নববিবাহিতা স্ত্রীকে নিয়ে প্রথমবারের মতো হাতিরঝিলে ঘুরতে এসেছেন গার্মেন্ট শ্রমিক তোতা মিয়া। তিনি বলেন, দুপুরের পর এখানে এসে প্রথমেই স্ত্রীকে নিয়ে ওয়াটার বাসে বেগুনবাড়ি থেকে পুলিশ প্লাজা পর্যন্ত ঘুরে বেড়ান। সন্ধ্যার পর ওয়াটার লাইট প্রদর্শনী দেখে বাড়ি ফিরে যাবেন বলে জানান।
এমইউ/জেএইচ/এমকেএইচ