ফজলের পরিবর্তে যাচ্ছেন ক্যাপ্টেন আমিনুল
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিবের নির্দেশে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ফজল মাহমুদকে ভিভিআইপি ফ্লাইট থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার পরিবর্তে পাঠানো হচ্ছে ক্যাপ্টেন আমিনুলকে।
শুক্রবার (৭ জুন) সন্ধ্যা ৭টা ৫মিনিটে বিমানের দোহাগামী নিয়মিত ফ্লাইটে (বিজি-০২৫) তার ঢাকা ত্যাগ করার কথা। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট অপারেশন বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক বলেন, ‘এ ঘটনার পর ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ স্বাভাবিকভাবে ফ্লাইট অপারেশনের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে মনে করা হচ্ছে। তাই তার পরিবর্তে আরেকজন ক্যাপ্টেনকে পাঠানো হচ্ছে।’
ফ্লাইট অপারেশন বিভাগের ডেপুটি চিফ অব ট্রেনিং আনিছ আহমেদ বলেন, ফজল মাহমুদের পাসপোর্টটি বহন করতে রিজেন্ট এয়াওয়েজকে চিঠি দিতে হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণলয় সার্বক্ষণিক তৎপর ছিল। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টায় রিজেন্ট এয়ারওয়েজের দোহাগামী ফ্লাইট পাসপোর্টটি নিয়ে যায়।
জানা গেছে, বিদেশ সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে বুধবার রাতে ঢাকা থেকে বোয়িং ৭৮৭ মডেলের একটি ড্রিমলাইনার দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যায়। বিমানটির পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। তিনি পাসপোর্ট ছাড়াই কাতার যান। পরে কাতার ইমিগ্রেশনে ধরা পড়লে তাকে সেখানেই আটকে রাখা হয়।
ফজল মাহমুদ কাতার ইমিগ্রেশনকে জানান, তার পাসপোর্ট বিমানের ফ্লাইট অপারেশন রুমের লকারে। পরে বিমানের নিরাপত্তা মহাব্যবস্থাপকের কাছ থেকে চাবি নিয়ে ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট উদ্ধার করেন বিমানের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ মহাব্যবস্থাপক (জিএম সেন্ট্রাল কন্ট্রোল) আশরাফ।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দেশে সরকারি সফরের অংশ হিসেবে বর্তমানে ফিনল্যান্ডে অবস্থান করছেন। ৮ জুন দোহা বিমানবন্দর হয়ে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তাকে বহন করতে বোয়িং ৭৮৭ মডেলের ড্রিমলাইনার বর্তমানে কাতার অবস্থান করছে।
আরএম/এএইচ/পিআর