ঈদের পরদিনও ঢাকা ছাড়ছে মানুষ
‘আরে ভাই, তাকিয়ে দেখছেন কী, গরমে ফিট খাইছে, উনারে ধরে বসান, মাথায় পানি দেন।’ আজ (৬ মে) গুলিস্তান মাওলানা ভাসানি হকি ষ্টেডিয়ামের সামনে মেঘনাঘাট রুটের বাসের জন্য লাইনে অপেক্ষমান এক গৃহবধূ হঠাৎ করে মাথা ঘুরে মাটিতে পড়ে যাচ্ছেন দেখে পিছনের ভদ্রলোক তার স্বামীকে উদ্দেশে সজোরে এ কথা বলে ওঠেন। ততক্ষণে ভিড় জমে গেছে।
গৃহবধূর স্বামী আনিসুর রহমান জানান, গত দেড় ঘণ্টা যাবত স্ত্রীকে নিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও বাসের দেখা পাননি। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু চালক তিনগুণ ভাড়া চাওয়ায় ইচ্ছে থাকলেও যেতে পারেননি।
আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২টায় গুলিস্তানের সামনে এ দৃশ্য চোখে পড়ে। দেখা যায় এ সময় গুলিস্তান-মেঘনা রুটের বাসের জন্য শত শত নারী, পুরুষ ও শিশু দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছেন। ষ্টেডিয়ামে প্রবেশের গেট থেকে শুরু করে গুলিস্তান আন্ডারপাস পর্যন্ত সাপের মতো এঁকেবেঁকে মানুষের দীর্ঘ লাইন। তাদের কেউ ব্যবসায়ী, কেউ চাকরিজীবি-শিক্ষার্থী, আবার কেউবা গৃহবধূ।
ঈদে যারা বাড়ি যেতে পারেননি এমন হাজারো মানুষ আজ ভিড় করেছে গুলিস্তান বাস স্ট্যান্ডে। সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায় চট্টগ্রাম ও সিলেটের বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য হাজার হাজার মানুষকে অপেক্ষা করছেন। দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করেও বাসের দেখা মিলছিল না। অপেক্ষমাণ লোকজন জানান, বিভিন্ন রুটে বাসের তুলনায় যাত্রী অনেক বেশি ।
মনিরুজ্জামান নামে এক ভদ্রলোক জানান, স্ত্রী সন্তান নিয়ে দেড় ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। বাসের দেখা না পেয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের লাইনে দাঁড় করিয়ে রেখে বিকল্পপথে যাত্রার জন্য ভাড়ায়চালিত মাইক্রোবাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা খুঁজছেন।
তিনি বলেন, ঈদের পরদিনও গ্রামের বাড়ি ফেরার মানুষের সংখ্যা বেশি বলে বাসের সংকট দেখা দিয়েছে।
এমইউ/এমএমজেড/এমএস