ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

লঞ্চে জায়গা পেতে অনেক আগেই যাত্রীরা ছুটে আসছেন সদরঘাটে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:২৯ পিএম, ০৩ জুন ২০১৯

ঈদে নাড়ির টানে প্রিয়জনের কাছে ফিরতে রাজধানী ছাড়ছেন নগরবাসী। সে কারণে সোমবার (৩ জুন) ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে সদরঘাটে। প্রতিটি লঞ্চ ছাড়ার বেশ আগেই ভরে যাচ্ছে। লঞ্চে জায়গা পেতে অনেকেই দু-তিন ঘণ্টা আগেই ছুটে আসছেন সদরঘাটে।

এদিন সদরঘাটের আগে রায় সাহেববাজার থেকেই চোখে পড়ে নৌপথের যাত্রীদের ভিড়। কেউ হাতে ও কাঁধে একাধিক ব্যাগ, কেউবা মাথায় বস্তা, মালামাল নিয়ে স্ত্রী-সন্তানসহ চলছেন লঞ্চের উদ্দেশে।

SadarGHat

সদরঘাট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের ৪৩টি রুটে লঞ্চ চলাচল করে। ঈদের সময় ৩০-৩৫ লাখ লোক সদরঘাট দিয়ে নদীপথে গ্রামের বাড়ি যায় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কর্মকর্তারা।

আজ সদরঘাটে গিয়ে দেখা যায়, দুপুরের মধ্যেই মূল টার্মিনালে থাকা ঢাকা থেকে কালাইয়া রুটে চলাচলকারী বন্ধন-৫, চরফ্যাশন রুটের কর্ণফুলী-১৩, হাতিয়া রুটের ফারহান-৪, বোরহানউদ্দিন রুটের প্রিন্স অব জাহিদ-৭, ভোলা রুটের কর্ণফুলী-৪, রাঙ্গাবালী রুটের জাহিদ-৪ লঞ্চ যাত্রীতে পূর্ণ হয়ে গেছে।

SadarGHat

বন্ধন-৫ লঞ্চের যাত্রী মো. তারেক বলেন, পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে আমি সবার বড়। সবাই গ্রামের বাড়ি থাকলেও কাজের তাগিদে আমি ঢাকায় থাকি। মা-বাবা, ভাই-বোনদের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। বিকেলে যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড় হতে পারে, তাই আগেভাগেই চলে এসেছি।

ঢাকা-হাতিয়া রুটের ফারহান-৪ লঞ্চের যাত্রী কামরুল বলেন, গ্রামের বাড়ি ছোট ভাই-বোন, মা সবাই আমার জন্য অপেক্ষা করছেন। সকালে অফিসে হাজিরা দিয়েই চলে এসেছি। যতক্ষণ না মায়ের কাছে যেতে পারছি, মনে শান্তি আসছে না। দেরিতে এলে লঞ্চে জায়গা পাওয়া কষ্টকর হবে ভেবে দেড় ঘণ্টা আগেই এসেছি। লঞ্চে উঠে দেখি আমার আগে অনেকেই এসেছেন।

SadarGHat

মঙ্গলবার (৪ জুন) শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে বুধবার (৫ জুন) মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে। এক্ষেত্রে মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটি থাকবে। তবে রমজান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হলে ঈদ হবে বৃহস্পতিবার (৬ জুন)। সেক্ষেত্রে একদিন বেড়ে শুক্রবারও সরকারি ছুটি থাকবে, যদিও ওই দিন সাপ্তাহিক ছুটির দিন।

এমএএস/এমএমজেড/জেআইএম

আরও পড়ুন