নতুন নোটে বেশি নিচ্ছে হাজারে একশ টাকা
পবিত্র ঈদুল ফিতরের বাকি আর মাত্র তিন-চারদিন। ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটার পাশাপাশি প্রিয়জনদের সেলামি দিতে অনেকেই সংগ্রহ করছেন নতুন টাকা। নতুন নোট নিতে এক হাজারে বাড়তি দিতে হচ্ছে একশ টাকা। তবুও মানুষ হুমড়ি খেয়ে সংগ্রহ করছেন নতুন নোট।
রোববার (২ জুন) বেলা ২টায় রাজধানীর গুলিস্তানে দেখা যায় এমন দৃশ্য। গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সের সামনে নতুন টাকার নোট নিয়ে সারি সারি ভাবে বসে আছেন দোকানদাররা। ক্রেতারও নতুন নোট সংগ্রহে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। কে কার আগে ক্রেতা ডেকে নিজের দোকানে আনতে পারে সে প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত তারা। সব দোকানদারের মুখে একই কথা যত নিবেন নেন। হাজারে একশ টাকা বেশি দিতে হবে।
কারণ হিসেবে তারা বলছেন, আজ ব্যাংক বন্ধ। নতুন নোট আনতে বাড়তি টাকা দিতে হয়েছে। হাজারে আশি টাকা বেশি দিতে হয়েছে। আমরা ২০ টাকা লাভে ছেড়ে দিচ্ছি।
নতুন নোট নিতে পুরান ঢাকা থেকে এসেছেন নয়ন মজুমদার (৪৫)। দুই হাজার দুশ টাকা দিয়ে ১০ টাকার দুটি বান্ডিল নিয়েছেন। তিনি বলেন, ক’দিন পরই ঈদুল ফিতর। বাসায় ছেলেমেয়ে রয়েছে। তাদের নতুন নোট দিতে হবে। এছাড়া আত্মীয়স্বজন রয়েছে তাদেরও নতুন নোট দিতে হবে। হাজারে একশ টাকা বেশি নিয়েছে। তবে তাতেও খুশি।
ডেমরা স্টাফ কোয়াটার থেকে নতুন নোট নিতে গুলিস্তানে এসেছেন শাহেরা খাতুন। বয়স ৫৫-এর কাছাকাছি। পেশায় স্কুল শিক্ষিকা। তিনি চার হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে নতুন নোটের চারটি বান্ডিল নিয়েছেন। বান্ডিলে মধ্যে রয়েছে ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নোট। নতুন নোট নেয়ার পর বলেন, ঈদে ছেলেমেয়ে, নাতি, নাতনি, ভাতিজা ও ভাতিজিসহ নিকটাত্মীদের সালামি দিতে নতুন নোট নিয়েছি। প্রতি বছর গুলিস্তান থেকে নতুন নোট সংগ্রহ করি। তারা হাজারে একশ টাকা বেশি নিচ্ছে। গতবার হাজারে ৮০ টাকা বেশি নিয়েছে। এবার একটু বেশি নিচ্ছে।
হাজারে একশ টাকা কেন বেশি নিচ্ছেন এমন প্রশ্ন করা হয় গুলিস্তানের নতুন নোট ব্যবসায়ী আব্দুর রহিমকে। তিনি বলেন, আজ ব্যাংক বন্ধ। ব্যাংক বন্ধের আগেই বেশি টাকা দিয়ে নতুন নোট বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নিয়ে এসেছি। যেহেতু আমরা বেশি টাকা দিয়ে নতুন নোট এনেছি সেহেতু আমরাও বেশি টাকা নিচ্ছি।
ব্যবসায়ী মানিক মিয়া বলেন, আমরা ব্যাংক বন্ধের আগে বেশি টাকা দিয়ে নতুন নোট এনেছি। হাজারে ৮০ টাকা বেশি দিতে হয়েছে। আমরা ২০ টাকা লাভে ছেড়ে দিচ্ছি।
ব্যবসায়ী জমিন হওলাদার বলেন, সামনে ঈদ। ঈদে নতুন নোটের ব্যবসা খুবই ভালো হচ্ছে। নতুন নোট আনতে আমাদের বেশি টাকা দিতে হয়েছে। তাই আমরা হাজারে একশ টাকা বেশি নিচ্ছি।
জেএ/এএইচ/জেআইএম