ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়, যাত্রীদের ক্ষোভ
ধূমকেতু এক্সপ্রেস সকাল ছয়টায় রাজশাহীর উদ্দেশে কমলাপুর ছাড়ার কথা অথচ সেই ট্রেনটি সকাল ৯টার পরেও কমলাপুর স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো ছিল। পরে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা বিলম্বে সাড়ে ৯টার দিকে স্টেশন ছাড়ে ট্রেনটি।
অন্যদিকে চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৮টায় কমলাপুর ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে ছাড়বে বলে জানানো হয়। এছাড়া খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও তা ছেড়েছে সকাল ৮টায়। ট্রেনের এই বিলম্বের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। তবে এই কদিন বিলম্বে থাকা রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি যথা সময়েই স্টেশন ছেড়ে গেছে।
গত ২৪ মে যারা দীর্ঘলাইনে অপেক্ষা পর কাঙ্ক্ষিত টিকিট হাতে পেয়েছিলেন, সে সব ঘরমুখো মানুষই আজ রোববার পরিবার-পরিজন নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন ঈদ উদযাপন করতে। তাই শত ভোগান্তি পেরিয়ে মানুষ ছুটে নাড়ির টানে।
সকাল থেকেই কমলাপুর রেল স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। কেউ ব্যাগ হাতে, কেউবা পরিবার সদস্যদের হাত ধরে ছুটছেন কাঙ্ক্ষিত ট্রেনের দিকে। ইট-পাথরের শহর ছেড়ে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন। তবে ট্রেনের বিলম্বের কারণে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।
রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী পারভেজ আহমদে। তিনি বলেন, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সকাল ৬টার ট্রেন ধরতে সাড়ে ৫টায় স্টেশনে এসেছি কিন্তু সেই ট্রেন ছাড়ল সকাল সাড়ে নয়টায়। গত ২৪ মে ১৪ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটেছি। টিকিট কাটতে এক ভোগান্তি, ট্রেন বিলম্বে আরেক ভোগান্তি। ঈদ আসলে হাজারও বিড়ম্বনা-ভোগান্তি পোহাতে হয় ঘরমুখো মানুষদের। এর কি কোনো সমাধান নেই? প্রতিবছরই একই ধরনের বিড়ম্বনা কেন আমাদের পোহাতে হবে?
চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী আনিকা খাতুন বর্ষা বলেন, সারা রাত লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটেছি অথচ আজ যাত্রার দিনে ট্রেনটি ৪ ঘণ্টা বিলম্ব। রোজার দিনে এত কষ্ট করে দীর্ঘ পথের যাত্রা, মানুষের ভিড়, ট্রেন বিলম্ব কত রকমের বিড়ম্বনা।
এ বিষয়ে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক বলেন, যে ট্রেনগুলো দেরিতে কমলাপুরে পৌঁছেছে, সেই ট্রেনগুলোই ছাড়তে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে বেশিরভাগ ট্রেনগুলোই যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি সব ট্রেনগুলো যেন যথাসময়ে ছেড়ে যেতে পারে। সব মিলিয়ে যাত্রীদের ভোগান্তি নিরসনে সার্বিক সহযোগিতার চেষ্টা করছি।
এএস/জেএইচ/এমএস