ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

গুলশানে বিত্তবানদের কেনাকাটার ধুম

রফিক মজুমদার | প্রকাশিত: ১২:৩৪ পিএম, ৩১ মে ২০১৯

রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানের বিভিন্ন দোকানে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। গত সপ্তাহেও এমন অবস্থা দেখা যায়নি। এখানকার কালেকশনে রয়েছে এক্সক্লুসিভ সব ধরনের টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, শাড়ি, লেহেঙ্গা, শার্ট, থ্রি পিস। আর এসব আনা হয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে। বিক্রেতারা বলছেন, অনেক আইটেম একপিস করে আনা হয়েছে যা দেশের কোথাও এসব এক্সক্লুসভি পোশাক পাওয়া যাবে না।

গুলশানের পিংক সিটি, বস্নুজা স্টিচ, শপার্স ওয়ার্ল্ড, নাভানা টাওয়ার, মনিক্যাপিটাল সেন্টার ও পুলিশ প্লাজা সাজানো হয়েছে লাখ লাখ টাকা মূল্যের পোশাকে। সেখানে একটি শার্ট সর্বনিম্ন বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার টাকায় এবং সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার টাকায়। দোকানিরা বলছেন, এসব পোশাকের চাহিদা তুঙ্গে। শপার্স ওয়ার্ল্ডের বিক্রেতা আলি আযম বলেন, ‘এ এলাকার বেশিরভাগ ক্রেতাই বিত্তবান। তাদের জন্য লাখ লাখ টাকা মূল্যের পোশাক তুলেছি আমরা।’

gulshan-3.jpg

তিনি জানান, রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী, এমপি, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, মিডিয়ার তারকা, সরকারি-বেসরকারি উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের পরিবার-পরিজন গাড়ি হাঁকিয়ে শপিং মলে আসছেন। ব্র্যান্ডের জুতা এবং দেশের বিখ্যাত সব ফ্যাশন ডিজাইনারদের তৈরি পোশাক পাওয়া যাচ্ছে এ এলাকার বিভিন্ন দোকানে। আর এসব পোশাকে রয়েছে দেশীয় ঐতিহ্য।

সরেজমিন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, শাড়ি, পাঞ্জাবি, মেয়েদের পোশাকের দোকান এবং নতুন কাপড়ের সঙ্গে মিলিয়ে জুতা, এক্সেসরিজ ও কসমেটিকসের দোকানগুলোতেই তুলনামূলক ভিড় বেশি। কসমেটিকসের ব্যবসায়ী আসলাম জানালেন, এখানে কসমেটিকসের পণ্যই বেশি বিক্রি হচ্ছে। একদাম হলেও কিছুটা ছাড়ের সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা।

gulshan-3.jpg

রাজধানীর গুলশানের শপিং মল পুলিশ প্লাজা। মানসম্মত বিদেশি পোশাক, পার্টি কিংবা ক্যাজুয়াল ড্রেস, জুতা, গহনা, ব্যাগসহ বাহারি সব কালেকশন থাকায় ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় অন্যতম এই শপিং মলটি। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, এ শপিংমলে পণ্যের দাম কিছুটা বেশি। এর কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, পোশাকসহ অন্যান্য পণ্যের মানের নিশ্চয়তা দিচ্ছেন তারা। এখনকার অনেক পণ্যই বিদেশি। তাই এসব পোশাকের দাম চড়া হলেও মান ভালো।

ক্রেতা আহমেদুল রশিদ বললেন, অনেক কিছুই কিনলাম। এক্সক্লুসিভ ও মানসম্মত পণ্যের কালেকশন এখানে পাওয়া যায়, তবে তুলনামূলক দাম কিছুটা বেশি।

আরএম/এসআর/এমএস

আরও পড়ুন