ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

পোশাকের মানে স্বস্তি দামে অস্বস্তি বসুন্ধরায়

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:৪৩ এএম, ৩১ মে ২০১৯

আবু হেনা পরিবার নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে। জেন্টলপার্ক, ইনফিনিটি, লুবনান ও ফ্যাশন জোন ঘুরে কেনাকাটা করেন। তিনি বলেন, ‘পাঞ্জাবিটা পছন্দ হয়েছে। দামেও সমস্যা দেখছি না। কিন্তু ২২ শ’ টাকার নিচে ভালো জিন্স প্যান্ট পাওয়া যাচ্ছে না। আর বাচ্চার পোশাক কিনতে রীতিমতো চক্ষু ছানাবড়া অবস্থা। সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম লেখা। কেনাকাটার জন্যই এসেছি। তবে স্বস্তি পেলাম না।’

ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতার পদচারণায় মুখরিত প্রত্যেকটি মার্কেট ও শপিং মল। রাজধানীতে গরমে এবার ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতার অন্যতম পছন্দের মার্কেট বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স।

বৃহস্পতিবার সরেজমিন শপিং মল ঘুরে দেখা যায়, বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে প্রবেশ পথে ভিড়। তবে রোজার দিন হওয়ায় কমপ্লেক্সের কফি শপ কিংবা চাইনিজ রেস্তোরাঁগুলোতে ভিড় নেই। চলন্ত সিঁড়ি, ক্যাপসুল লিফটে ক্রেতারা ছুটছেন এ দোকান থেকে ও দোকানে। পছন্দের শো-রুম ও ফ্যাশন হাউজগুলোতে ঢু মারছেন তারা।

Boshundhara-1.jpg

কমপেক্সের দোতলায় কথা হয় ফ্যাশন জোনের ম্যানেজার সুমনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে কাবলি পাঞ্জাবিটা নতুন স্টাইলের। ৩ হাজার ৪৯৫ টাকা থেকে ৩ হাজার ৫৯৫ টাকায় মিলছে। শার্ট ১ হাজার ৪৯৫ টাকা, প্যান্ট ১ হাজার ৮৯৫ থেকে ১ হাজার ৭৯৫ টাকা, পাঞ্জাবি ১ হাজার ৫৯৫ টাকা, টি-শার্ট ৭৯৫, মেয়েদের সিঙ্গেল টপস ১ হাজার ৬৯৪ টাকা।’

ওকো অ্যানার্জির ম্যানেজার সুইম বললেন, 'বিক্রি খুবই ভালো। গত বছরের তুলনায় এবার ক্রেতা সমাগমও বেশি। আশা করছি, শুক্রবার ও পরদিন আরও বেশি বেচা-বিক্রি হবে' 

তার দোকানে ১ হাজার ৪৪৯ টাকা থেকে ৪ হাজার ২০০ টাকা, প্যান্ট ১ হাজার ৭৪৩ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা, পলো-টি শার্ট ১ হাজার টাকা, শার্ট ১ হাজার ৪৪৯ টাকা থেকে ১ হাজার ৭২০ টাকায় পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে।

Boshundhara-1.jpg

লুবনানে পোশাকের দামে চড়া। শার্ট ১ হাজার ৭০০ থেকে ৪ হাজার টাকা, প্যান্ট ১ হাজার ৯০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা, পাঞ্জাবি ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা, পলো টি-শার্ট ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দামের ব্যাপারে লুবনানের কর্মকর্তা মো. জনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘পোশাকের মান ভালো চাইলে দামে একটু তো বেশি লাগেই। তাছাড়া মার্কেট ভ্যালু, আমাদের খরচের কারণেও দামে প্রভাব পড়ে। তবে সবমিলিয়ে আমাদের ক্রেতারা পোশাকের মানে তুষ্ট।’

শপিং কমপ্লেক্সের দোতলার নোঙর, তানহা, সোনিয়া ফ্যাশনস, অর্কিটমার্ট, ফ্যাশন প্লেস, সায়মা ফ্যাশনস, স্মারটেক্স ইনফিনিটি, ইজি, সাফিয়া ফ্যাশনস, অনামিকা, অক্সিজেন, গ্রামীণ শো-রুমে দেখা যায় ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়।

Boshundhara-1.jpg

গ্রামীণের ম্যানেজার ইউসুফ বলেন, আমাদের বাংলার গ্রামীণ ঐহিত্যের সঙ্গে মিল রেখে রং-বেঙয়ের পোশাক আনা হয়েছে ঈদে। সামর্থ্যের মধ্যেই দাম থাকছে। ক্রেতারাও বেশ আসছেন। ঈদের কেনাকাটায় সন্তুষ্টির কথা জানান তিনি।

স্মারটেক্সের ম্যানেজার ইমন হোসেন বলেন, ‘আমাদের শো-রুমে সব ধরনের ক্রেতার চাহিদার বিবেচনায় পোশাক আনা হয়েছে। এবারের ঈদে নারী ক্রেতাদের আগ্রহে বেশি দেখা যাচ্ছে লং টিউনি থ্রি পিস, কুর্তা ও শর্ট টিউনিতে। এ ছাড়া সিগারেট প্যান্ট বা কার্ট সালোয়ারেও আগ্রহ বেশি। আর জেন্টস আইটেমে কাবলি পাঞ্জাবি।’

স্মারটেক্সে কথা হয় শবনম আরার সঙ্গে। তিনি বললেন, মার্কেটে পরিবেশ ও মানের পোশাক নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই। কিন্তু দামটা আর একটু নাগালে রাখা উচিত। তিনি বলেন, মাঝেমধ্যেই পছন্দের পোশাকের দাম নাগালে পাচ্ছি না। অনেক বেশি রাখা হচ্ছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের পোশাকে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে বলে জানান তিনি।

জেইউ/এসআর/এমএস

আরও পড়ুন