ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ঈদে শিশুদের বাজার গরম

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৪০ পিএম, ২৯ মে ২০১৯

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার দোকানগুলোয় ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। বড়দের সঙ্গে রয়েছে শিশুরাও। কোনো শিশু বাবা-মার সঙ্গে, কেউ বড় বোন, ভাই বা আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ঈদের জামা-কাপড় কিনছে। আবার অনেকে শিশুদের না এনে মাপ মতো জামা কিনছেন।

বুধবার (২৯ মে) রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শিশুদের জামা বিক্রির দোকানগুলোয় ক্রেতাদের ভিড়। দোকানিরা জানান, তাদের বিক্রিও ভালো। তবে ক্রেতাদের অনেকের অভিযোগ, শিশুদের জামা-কাপড়ের দাম একটু বেশি।

দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, ছেলে শিশুদের জন্য প্যান্ট ও শার্ট কিনতে হলে গুনতে হচ্ছে সর্বনিম্ন ৬০০ টাকা। মেয়ে শিশুদের ক্ষেত্রেও প্রায় একই রকম দাম গুনতে হচ্ছে। কখনো কখনো একটু বেশিও লাগছে মেয়ে শিশুদের ক্ষেত্রে।

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার ইয়াকুব মার্কেট। এর একটি দোকানে এক দম্পতিকে তাদের সঙ্গে থাকা ৮ থেকে ১০ মাস বয়সী সন্তানের জন্য জামা কেনার জন্য দরদাম করছিলেন। বনিবনা না হওয়ায় ওই দম্পতি বিদায় নেন। তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা অপারগতা জানান।

Child

দোকানদারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই দম্পতি তাদের সন্তানের জন্য দুটো জামা কেনার জন্য দরদাম করছিলেন। একটা ২৯০ টাকা ও আরেকটি ৩৩০ টাকা, মোট ৬২০ টাকা চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ওই দম্পতি ৫০০ টাকা দিতে চেয়েছিলেন। বনিবনা না হওয়ায় তারা জামা না কিনে বিদায় নেন।

এখানকার রেজা সুপার মার্কেটের দোকানগুলোর বড় অংশই বিক্রি করছে ছোটদের কাপড়। মার্কেটের রফিক অ্যান্ড ব্রাদ্রার্স দোকানে মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি ৮ থেকে ১০ বছর বয়সী সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন কেনাকাটা করতে। একটি জিন্সের প্যান্ট দেখে জানতে চান এর দাম কত? দোকানি জানান, ৪০০ টাকা। ফিরতি কোনো দাম না বলেই ওই ক্রেতা সন্তানকে নিয়ে বিদায় হোন।

এই দোকানের ম্যানেজার মো. লিটন জানান, ছোটদের জিন্স প্যান্ট সর্বনিম্ন বিক্রি করছেন ৩০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৮০০ টাকায়। হাফপ্যান্ট সর্বনিম্ন ১০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা আর ছোটদের গেঞ্জি বিক্রি করছেন তারা সর্বনিম্ন ২০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩০০ টাকায়।

নিউমার্কেটে সজীব হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী তার ভাতিজার জন্য জামা কেনেন। তিনি বলেন, ‘ঈদে বাড়িতে যাব। বাড়িতে ৩ বছর বসয়ী ভাতিজা আছে। ওর জন্য একটা শার্ট, একটা গেঞ্জি ও একটা প্যান্ট কিনেছি। শার্ট ৩০০ টাকা, গেঞ্জি ২০০ টাকা আর প্যান্ট নিয়েছে ৩০০ টাকা। মনে হচ্ছে, দাম একটু বেশি।’

Child-(3).jpg

ওই এলাকার গাউছিয়া মার্কেটের সিদ্দিক এন্টারপ্রাইজ দোকানে শুধু মেয়ে শিশুদের জামা বিক্রি হচ্ছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১০ বছর বসয়ী শিশুর জন্য সর্বনিম্ন ফ্রকের দাম ৫০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ টাকা।

এখানকার আরেকটি দোকানে কথা বলে জানা যায়, শিশুদের জন্য সবচেয়ে কম দামি প্যান্টের দাম ৩০০ টাকা এবং শার্টের দাম ৩০০ টাকা। ভালো মানের একটা প্যান্ট ও শার্ট নিতে চাইলে খরচ করতে হবে ৯০০ টাকা।

গাউছিয়া মার্কেটের সিদ্দিক এন্টারপ্রাইজ দোকানে মালিক মো. দেলোয়ার বলেন, ‘ছোটদের মধ্যে কাপড় ছোটবড় আছে। কিন্তু কাজ প্রায় একই। তাই দাম সাধারণ একশ থেকে দেড়শ টাকার বেশি হেরফের হয় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘জামা-কাপড় কেনার চাপ আছে। কাস্টমার আসলে বাচ্চাদের জন্য কিনতেই হয়। তবে বাচ্চার জন্য আগের তুলনায় একাধিক জামা কেনার প্রবণতা একটু কম। আমার দোকানে নেটের ফ্রক ও সুতির কাপড়ও বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে নেটের ফ্রক একটু বেশি কিনছেন ক্রেতারা।’

রফিক অ্যান্ড ব্রাদ্রার্স দোকানের ম্যানেজার মো. লিটন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ছোটদের জামাকাপড় বিক্রি মোটামুটি ভালো। আমাদের এখানে ছোটদের জন্য যেসব জামাকাপড় আছে, সবই মোটামুটি চলে।’ তিনি জানান, তার দোকানে জিন্সের থ্রি কোয়ার্টারগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে।

পিডি/এসআর/এমএস

আরও পড়ুন