ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন ও ফরেন এক্সচেঞ্জ বিল পাস

প্রকাশিত: ০৩:৫৩ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫

অর্থ ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য জনস্বার্থে নিয়োজিত এনজিওসহ বেসরকারি সংস্থা এবং সরকারি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাসমুহের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন ২০১৫ বিল জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। ফাইনান্সিয়াল রির্পোটিং কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার বিধান রাখা হয়েছে এ বিলে।

রোববার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সংসদে বিলটি পাস করার প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়। সংসদীয় কমিটি বিলের বিভিন্ন দফায় ১১টি সংশোধনী প্রস্তাব করে। এর আগে বিলের ওপর আনিত বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, করপোরেট সেক্টর, পাবলিক সেক্টর কপোরেশন, সরকারি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, এনজিও, ব্যাংক, আর্থিক ও বীমা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সমুহের আর্থিক প্রতিবেদন প্রণয়ন, হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষাকাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন। সে লক্ষে ফাইনান্সিয়াল রির্পোটিং আইন প্রণয়ন পূর্বক ফাইনান্সিয়াল রির্পোটিং কাউন্সিল নামে একটি নিরপেক্ষ রেগুলেটরী সংস্থা গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

আর্থিক প্রতিবেদনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে যৌথ বিনিয়োগে উৎসাহী হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

এছাড়া রোববার ফরেন এক্সচেঞ্জ (সংশোধন) বিলও সংসদে পাস হয়। বৈদেশিক বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসারের স্বার্থে এবং বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে যুগোপযোগী কার্যক্রম গ্রহণের বাধা দূর করতে বিলটি আনা হয়। বিলের বিভিন্ন দফায় আনা তিনটি সংসদীয় কমিটির সুপারিশকৃত আকারে বিলটি সংসদে পাস হয়।

বিলের উদ্দেশ্য কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, বৈদেশিক মুদ্রা ও সিকিউরিটিজ ক্রয়, বিক্রয় ও পরিশোধ এবং কারেন্সী ও বুলিয়নের আমদানী রফতানী নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ১৯৪৭ সালে প্রণীত এ অধ্যাদেশটি সংশোধন করে এই বিল প্রণীত হয়। আইনটি সংশোধন করা না হলে বৈদেশিক বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসারের ক্ষেত্রে অসুবিধার সৃষ্টি হবে এবং যুগোপযোগী কার্যক্রম গ্রহণ বাধা গ্রস্থ হবে।

এইচএস/এএইচ/আরআইপি