ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সংবাদ ও টকশো মনিটরিংয়ে কমিটি আছে : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৩:০৫ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বর্তমানে বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলে প্রচারিত অনুষ্ঠান, টকশো ও সংবাদ নিয়মিত মনিটরিং করার জন্য কমিটি রয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

রোববার জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের ফজিলাতুন নেসা বাপ্পীর লিখিত প্রশ্নের উত্তরে সংসদকে এ তথ্য জানান তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি ও জাতীয়  ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম হিসেবে বাংলাদেশ টেলিভিশন জাতির কাছে পুরোপুরি দায়বদ্ধ। বাংলাদেশ টেলিভিশন হতে বিকৃত ও অসত্য তথ্য প্রদান করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার মতো কোনো অনুষ্ঠান বা টক শো প্রচার করার সুযোগ নেই।

জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪ এর তৃতীয় অধ্যায়ের ৩.২.২ অনুচ্ছেদে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য বা উপাত্ত পরিহারের জন্য বলা হয়েছে। উক্ত নীতিমালা কার্যকর করার জন্য ‘সম্প্রচার আইন-২০১৫’ ও ‘সম্প্রচার কমিশন আইন-২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইন দুইটি প্রণীত হলে ‘সম্প্রচার কমিশন’ প্রতিষ্ঠিত হবে এবং টকশোর জন্য সুনির্দিষ্ট মানদণ্ড নির্ধারণ করা হবে। ফলে টকশোগুলোতে বিকৃত ও অসত্য তথ্য উপস্থাপনের সুযোগ থাকবে না। এছাড়াও বর্তমানে বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল কর্তৃক প্রচারিত অনুষ্ঠান, টকশো ও সংবাদ নিয়মিত মনিটরিং করার জন্য একটি কমিটি রয়েছে।

পিনু খানের প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী জানান, বেসরকারি মালিকানাধীন টেলিভিশন চ্যানেল বা পত্রিকায় ব্যক্তি স্বার্থ উদ্ধার এবং ব্যক্তিগত শক্রুতার বা বিরোধীকে লক্ষ্য করে বিরোধীপক্ষের বিরুদ্ধে নানা প্রকার কল্পকাহিনী বা মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রচার করা হলে সেক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।

জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪ এর তৃতীয় অধ্যায়ের ৩.২.২ অনুচ্ছেদে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য তথ্য বা উপাত্ত পরিহারের জন্য বলা হয়েছে। উক্ত নীতিমালার পঞ্চম অধ্যায়ে কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত বা গোপনীয় বা মর্যাদা হানিকর তথ্য প্রচার করা যাবে না। এক্ষত্রে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী আরো জানান, ‘জাতীয় সম্প্রচার কমিশন’ প্রণয়নের কাজ চলছে। উক্ত আইনেও এসব বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।

সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে ইনু বলেন, বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শনের ক্ষেত্রে ডাউনলিংক ফি বেশী হওয়ায় ভারতীয় ক্যাবল অপারেটররা বাংলাদেশি চ্যানেল প্রদর্শনে আগ্রহী হচ্ছেন না। বিষয়টি ভারতীয় সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট উত্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশসহ সার্কভুক্ত দেশসমূহের টিভি চ্যানেলসমূহ যাতে সহজে ভারতে সম্প্রচার করা যায় সেই লক্ষ্যে বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সার্ক ফোরামে উত্থাপনের উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে।
 
তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে দুরদর্শনের একটি চ্যানেলে ডিটিএইচ প্রযুক্তির মাধ্যমে বিটিভির অনুষ্ঠান প্রচারের বিষয়ে সম্মতি পাওয়া গেছে। সে অনুসারে দুরদর্শন ও বিটিভির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) চুক্তি স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ড ও সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনের সম্প্রচার ব্যবস্থা Free To Air (FTA)  হওয়ায় উপযুক্ত Parameter এর মাধ্যমে স্যাটেলাইটের সাহায্যে বর্তমানে ভারতসহ পৃথিবীর প্রায় ৬০টি দেশের দর্শকরা দেখতে পাচ্ছেন। যে কোনো ভারতীয় দর্শক বা ক্যাবল অপারেটর ডাউনলিংকের মাধ্যমে বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ড ও সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠান উপভোগের সুবিধা পাচ্ছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে ভারতের ৩২টি পে চ্যানেল এবং ৮টি ফ্রি চ্যানেল সম্প্রসারিত হচ্ছে।

এইচএস/এমএম/একে/আরআইপি