৮শ’ টাকার ভাড়া ১৩৫০ টাকা!
চট্টগ্রাম থেকে নওগাঁর নিয়মিত বাস ভাড়া ৮০০ টাকা। কিন্তু যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ১ হাজার ৩৫০ টাকা। একইভাবে রাজশাহী, দিনাজপুর, পাবনা, যশোরসহ উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের সব গন্তব্যে ঈদের অগ্রিম টিকিটে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত নেয়া হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দূরপাল্লার বাসের এমন অনিয়মের অভিযোগে পাঁচ বাস সার্ভিসকে ১ লাখ টাকা টাকা জরিমানা করা হয়।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক জাগো নিউজকে বলেন, অভিযান চলাকালে বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার কাউন্টারে নিয়মিত ভাড়ার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া নেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এসব পরিবহনের মধ্যে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ- এ দুই গন্তব্যেরই বাস রয়েছে।
তিনি বলেন, নগরের এ কে খান এলাকার উত্তরবঙ্গগামী আরএম ট্রাভেলস ২ জুনের অগ্রিম টিকিটে নওগাঁর ভাড়া রাখছিল ১ হাজার ৩৫০ টাকা করে, যেখানে নিয়মিত ভাড়া হলো ৮০০ টাকা। অর্থাৎ ৫৫০ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে তারা। কর্নেল হাট এলাকার শাহ ফতেহ আলী পরিবহন অগ্রিম টিকিটে বগুড়ার ভাড়া নিচ্ছে ১ হাজার ২৫০ টাকা করে। বগুড়ার নিয়মিত ভাড়া ৭৫০ টাকা। এ পরিবহনটি যাত্রীর কাছ থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকা নিলেও টিকিটে উল্লেখ করছে ১ হাজার ১৫০ টাকা।
অলংকার এলাকার বেপারী পরিবহন এক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে। এরা রাজশাহীর অগ্রিম টিকিটের দাম নিচ্ছে ১ হাজার ৪০০ টাকা করে যা নিয়মিত ভাড়ার চেয়ে ৬০০ টাকা বেশি। শুধু তাই নয়, এ পরিবহনটি যাত্রী টিকিটে ভাড়ার পরিমাণ লিখছে না।
এভাবে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ায় আরএম ট্রাভেলসকে ২৫ হাজার টাকা, শাহ ফতেহ আলী পরিবহনকে ২০ হাজার টাকা, বেপারী পরিবহনকে ৩০ হাজার টাকা, লিটন পরিবহনকে ২০ হাজার টাকা ও বলেশ্বর পরিবহনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এসআর/এমকেএইচ