ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

এফআর টাওয়ার নির্মাণে ত্রুটি, তদন্ত প্রতিবেদনে দোষী ৬৭ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:৩০ পিএম, ২২ মে ২০১৯

অগ্নি দুর্ঘটনায় পড়া বনানীর এফআর টাওয়ারের নকশা অনুমোদন এবং নির্মাণ কাজের ত্রুটির জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কর্মকর্তা-কর্মচারী, সংশ্লিষ্ট আবাসন প্রতিষ্ঠানসহ অন্তত ৬৭ জনকে দায়ী করে এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সরকার।

বুধবার (২২ মে) সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। দায়ী ব্যক্তিদের তালিকায় রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন খাদেমও রয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের পর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইয়াকুব আলী পাটোয়ারীর নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। রাজউকও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছে। আমাদের রেওয়াজ আছে, তদন্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখে না। আমি অঙ্গীকার করেছিলাম সেই সনাতনী ধারণার বাইরে বেরিয়ে আসব।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের টার্গেট ছিল এই ভবনটি নির্মাণ পদ্ধতির মধ্যে কোনো অনিয়ম বা ব্যত্যয় ছিল কি-না। হয়ে থাকলে তা কোন ধরনের। এফআর টাওয়ারের ১৫তলা পর্যন্ত অনুমোদন নেওয়া হয়। এই অনুমোদন যথাযথ ছিল।’

রেজাউল করিম বলেন, ‘এরপর ১৮তলা পর্যন্ত নির্মাণ প্রক্রিয়া যথাযথ ছিল, কিন্তু যে উপায়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সেটা সঙ্গত ছিল না। অনুমোদন দেওয়ার সময় যে আইন ছিল সেই আইনের আওতায় অনুমোদন দেওয়া হয়নি, অনুমোদন দেওয়া হয় আগের আইনে। এফআর টাওয়ারের ১৮ থেকে ২৩তলা পর্যন্ত সম্পূর্ণ অবৈধ বলেও উল্লেখ করেছে তদন্ত কমিটি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ভবন নির্মাণে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত রাজউক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যার ডেপুটেশনে রাজউকে ছিলেন এখন অন্য মন্ত্রণালয়ে রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে লিখব যে তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আছে ব্যবস্থা নেন। কেউ কেউ হয়তো অবসরে গেছেন, অবসরে গেলে তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নেয়া যায় না। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে ভিন্ন একটি আইনগত ব্যবস্থা আছে, আমরা সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করবো।

যারা এখন কর্মরত আছেন তাদের বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টাল প্রসিডিং ইনিশিয়েট করে পরিপূর্ণভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

প্রাথমিক দায়-দায়িত্ব নিরূপণ তদন্ত কমিটির

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ১৯৯৬’ জারি হওয়ার পরও ১৯৮৪ এর (পুরাতন) বিধিমালার আলোকে এফআর টাওয়ারের নকশা অনুমোদনের জন্য তৎকালীন রাজউকের চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদেম তার দায় এড়াতে পারেন না। অথরাইজড অফিসার সৈয়দ মকবুল আহম্মেদ ওই প্লটে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) অনুমোদিত উচ্চতা (১৫৫ ফুট) নির্ধারিত থাকার পরও ১৯৩ ফুট উচ্চতার ১৮তলা ভবনের অনুমোদন দেয়ার দায় তিনি ও তার কমিটি এড়াতে পারেন না।

এফআর টাওয়ারের ভূমির মালিকের দায় রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, কারণ ১৮ তলার ঊর্ধ্বে নির্মিত অবৈধ অংশটি অপসারণের জন্য রাজউককে তিনি লিখিতভাবে অনুরোধ জানালেও পরবর্তীতে ১৮ তলার উপরের অবৈধভাবে নির্মিত অংশের তার অংশটুকুর সুবিধা ভোগ করছেন।

‘এফআর টাওয়ারের ১৮ তলার উপরে অবৈধ অংশ নির্মাণের জন্য আমমোক্তার গ্রহিতা রূপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেডের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দায়ী। কারণ অবৈধভাবে প্রস্তুত করা নকশায় ক্ষমতাপ্রাপ্ত না হয়েও আমমোক্তার গ্রহিতা হিসেবে রূপায়নের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের স্বাক্ষর দেখা যায় এবং নকশা প্রণয়নকারী হিসেবে দেখানো স্থপতি আসমা হাফিজের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে বলে লিখিতভাবে তিনি জানিয়েছেন’ বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।

Somser

এ অবৈধ ও জালিয়াতিপূর্ণ নকশায় কথিত স্বাক্ষরকারী অথরাইজড অফিসার সৈয়দ নাজমুল হুদাসহ সহকারী অথরাইজড অফিসার বশির উদ্দিন খান এবং ওই সময়ের ইস্যু রেজিস্টারের দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়ী বলে জানিয়ছে তদন্ত কমিটি।

তদন্ত কমিটি প্রতিকারমূলক সুপারিশে বলেছে, ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর এফআর টাওয়ারের ১৮ তলার সংশোধিত আবাসিক কাম বাণিজ্যিক ভবনের নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা এবং বেবিচকের সর্বোচ্চ সীমা (১৫৫ ফুট) লঙ্ঘনকারী রাজউকের তৎকালীন চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদেম বিসি কমিটি ও অথরাইজড অফিসার সৈয়দ মকবুল আহম্মেদ এবং সহকারী অথরাইজড অফিসার মো. বদরুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। ওই সময় বিসি কমিটির সদস্যদের রাজউক নিজ উদ্যোগে শনাক্ত করতে পারে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত উচ্চতার অতিরিক্ত স্থাপনা অর্থাৎ ১৮৩ ফুটের উপরের অংশটুকু নির্মাণ অবৈধ। তাই সুশাসন নিশ্চিতে এই অংশটুকু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে অপসারণের জন্য রাজউককে এবং সংশ্লিষ্ট ভবন মালিক ও আমমোক্তার গ্রহিতাকে নির্দেশ দেয়া যেতে পারে। যদি কারিগরি কারণে বা জনস্বার্থে ভাঙা বা অপসারণ অসম্ভব হয়, তবে স্থায়ী সিলগালা করে এ অংশটুকু ব্যবহার নিষিদ্ধ করা যেতে পারে।

এফআর টাওয়ারের অবৈধ নকশা অনুমোদনের সহায়তাকারী হিসেবে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত অথরাইজড অফিসার সৈয়দ নাজমুল হুদা, সহকারী অথরাইজড অফিসার মো. বশির উদ্দিন খান এবং রূপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেডের ভবন নির্মাণকাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির (রূপায়ন হাউজিং এস্টেট নির্ধারণ করে দিতে পারে) স্বাক্ষর বিশেষজ্ঞ দ্বারা শনাক্ত করে দেশের প্রচলিত আইনে মামলা করা যেতে পারে।

যারা দায়ী
এফআর টাওয়ারের ভবন নির্মাণের সময় (২০০৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০০৮ সালের ৬ জুলাই) যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ওই এলাকায় তদারকির দায়িত্বে ছিলেন এবং অবৈধ অংশ বন্ধক অনুমতি দিতে যে সব সব কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত ছিলেন বলে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে বলে সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

তদারকির ক্ষেত্রে জড়িত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- প্রধান ইমারত পরিদর্শক মো. মাহাবুব হোসেন সরকার, মো. আব্দুল গণি এবং ইমারত পরিদর্শক মো. আওরঙ্গজেব সিদ্দিকী মো. আওলাদ হোসেন, মো. আবু মুছা, মো. নজরুল ইসলাম, মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. আব্দুস সাত্তার, মো. বেল্লাল হোসেন-২, মো. আলী আজম মিয়া, মো. মোস্তফা জামান, মো. নূর আলম, মো. জালাল উদ্দিন, সুরোত আলী রাসেল, মো. সিরাজ, মো. শওকত আলী, ইমরুল কবীর, ইলিয়াস মিয়া, মো. নজরুল ইসলাম, মো. খায়রুজ্জামান।

বন্ধক অনুমতির ক্ষেত্রে দায়ী ব্যক্তিরা হলেন উপ সচিব (সদস্য-এস্টেট ও ভূমি) মো. রেজাউল করিম তরফদার, উপ সচিব (পরিচালক-এস্টেট ও ভূমি) মো. শামসুল আলম, সিনিয়র সহকারী সচিব (উপ পরিচালক-এস্টেট ও ভূমি) মুহাম্মদ শওকত আলী, সহকারী পরিচালক শাহ মো. বদরুল আলম, সহকারী পরিচালক জাহানারা বেগম, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মজিবুর রহমান মোল্লা।

রাজউকের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এফআর টাওয়ারের ১৮তলা বিশিষ্ট আবাসিক কাম বাণিজ্যিক ভবনের নকশা অনুমোদন বিধি লঙ্ঘন করে করা হয়েছে। এই অনুমোদনের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে।

তারা হলেন- রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন খাদেম, সাবেক সদস্য ডিএম ব্যাপারী, সাবেক নগর পরিকল্পনাবিদ জাকির হোসেন, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান, সাবেক অথরাইজড অফিসার-২, সৈয়দ মকবুল আহমেদ, সাবেক সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ উল্লাহ, লীজ গ্রহীতা সৈয়দ মো. হোসাইন ইমাম ফারুক।

কথিত ২৩তলা বিশিষ্ট নকশাটি বৈধতা দেয়ার জন্য বিভিন্ন রেজিস্টারে অবৈধ এন্ট্রি ও ইস্যু দেখিয়ে এবং ওই নকশার সাহায্যে বিভিন্ন ফ্লোর হস্তান্তর, বন্ধক অনুমতি প্রদান এবং ঋণ গ্রহণের অনুমতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হচ্ছেন- সাবেক অথরাইজড অফিসার-২ সৈয়দ মকবুল আহমেদ, এটিএম কামরুজ্জামান খান ও সৈয়দ নাজমুল হুদা। এছাড়া রয়েছেন অবসরে যাওয়া রাজউকের সাবেক সহকারী অথরাইজড অফিসার-২ মো. বদরুজ্জামান মিয়া ও বশির উদ্দিন খান, ইমারত পরিদর্শক (তৎকালীন নকশা জমা গ্রহণকারী) ইমরুল কবির, ইমারত পরিদর্শক (তৎকালীন নকশা জমা গ্রহণকারী) মো. শওকত আলী, উচ্চমান সহকারী (নকশা জমা গ্রহণকারী) মুহাম্মদ আব্দুর রহমান, উচ্চমান সহকারী (সাময়িক বরখাস্ত) (ইস্যুকারী) মো. সফিউল্লাহ, তৎকালীন সময়ের অথরাইজড অফিসার-২ এর ইস্যু কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী, নিম্নমান সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক (সাময়িক বরখাস্ত) মো. মজিবুর রহমান মোল্ল্যা, অবসরে যাওয়া তত্ত্বাবধায়ক জাহানারা বেগম, বিষয় পরিদর্শক মো. মেহেদুজ্জামান, সহকারী পরিচালক শাহ মো. সদরুল আলম, উপ পরিচালক (প্রেষণ) মুহাম্মদ শওকত আলী, পরিচালক (প্রেষণ) মো. শামসুল আলম, সদস্য (এস্টেট-প্রেষণ) মো. রেজাউল করিম তরফদার, তত্ত্বাবধায়ক মোফাজ্জেল হোসেন, তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. এমদাদ আলী বিশ্বাস (মৃত), উপ পরিচালক (প্রেষণ) মুহাম্মদ শওকত আলী, পরিচালক (প্রেষণ) আব্দুল্লাহ আল বাকী, সদস্য (প্রেষণ) আ ই ম গোলাম কিবরিয়া, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. এনামুল হক ও তৎকালীন ইমারত পরিদর্শক মো. নজরুল ইসলাম।

যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মনিটরিংয়ের অভাব ও অবহেলার কারণে এফআর টাওয়ার নির্মাণে ত্রুটি ও ব্যত্যয় হয়েছে তারা হলেন- তৎকালীন গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৗশলী প্রেষণে অথরাইজড অফিসার-২ দেওয়ান মো. ইয়ামিন, সাবেক অথরাইজড অফিসার-২ (প্রেষণ) সৈয়দ নাজমুল হুদা, অথরাইজড অফিসার (প্রেষণ) মো. শামসুর রহমান, সাবেক সহকারী অথরাইজড অফিসার-২ বশির উদ্দিন খান, অথরাইজড অফিসার (প্রেষণ) মো. মাহবুব হোসেন সরকার, অবসরে যাওয়া প্রধান ইমারত পরিদর্শক বশির উদ্দিন খান, প্রধান ইমারত পরিদর্শক মো. মাহবুব হোসেন সরকার, তৎকালীন ইমারত পরিদর্শক মো. আওরঙ্গজেব সিদ্দিকী এবং তৎকালীন ইমারত পরিদর্শক মো. নজরুল ইসলাম।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্ণিত এফআর টাওয়ার ভবনের জরুরি বহির্গমন ও অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নকশা অনুযায়ী হয়নি। ভবন নির্মাণ বিধি মোতাবেক নিশ্চিত করণে ‘ডিউটি অব কেয়ার অ্যান্ড স্কিল’ প্রয়োগ হয়নি। এতে অবহেলা রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এ অবহেলার সাক্ষ্য প্রতিষ্ঠা করে। ফলে ভবন নির্মাণে নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে রূপায়ন হাউজিং এস্টেট লিমিটেড অবহেলার কাজটি করেছে। সাথে সাথে বরাদ্দ গ্রহীতা, এফআর টাওয়ার প্রোপার্টিজ লিমিটেড এবং এফআর টাওয়ার ওনার্স সোসাইটি ওই ভবনে ব্যবসা পরিচালনাসহ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকায় দুর্ঘটনার দায় এড়াতে পারে না।

অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হওয়া, ভবন ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে অবহেলা, ফায়ার এলার্ম না থাকা, ফায়ার এক্সিট সিঁড়িতে প্রতিবন্ধকতা থাকায় জরুরি নির্গমন পথে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় এবং ফায়ার এক্সিট দরজার সামনে রুম করে ভাড়া দেয়ায় দুর্ঘটনার সময় লোকজন দ্রুত বের হতে পারেনি। ফলে জানমালের ক্ষতি হয়েছে। এক্ষেত্রে সৈয়দ মো. হোসাইন ইমাম ফারুক (বনানী বাণিজ্যিক এলাকার ৩২নং প্লটের লীজ গ্রহীতা), ভবনের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত এফআর টাওয়ার প্রোপার্টিজ লিমিটেড এবং এফ আর টাওয়ার ওনার্স সোসাইটি দায়ী বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরএমএম/আরএস/এএইচ/এমকেএইচ

আরও পড়ুন