কৃষকের পাশে সরকার না থাকলে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে কীভাবে?
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সরকার কৃষকের পাশে না থাকলে খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে কীভাবে? সরকার কৃষকের পাশে রয়েছে এবং বিভিন্ন কৃষি উপকরণের দাম কয়েকগুণ কমিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশকে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে।
সোমবার (২০ মে) কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের থ্রিডি অডিটোরিয়ামে উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তর শীর্ষক প্রশিক্ষণ প্রকল্পের (৩য় পর্যায়ে) আওতায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের গাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে শিল্পায়নের ফলে কৃষি শ্রমিক দিনে দিনে কমে যাচ্ছে -এ জন্য কৃষি যান্ত্রিকীকরণ অপরিহার্য। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে সরকার ৫০ থেকে ৭০ ভাগ পর্যন্ত ভর্তুকি দিয়ে থাকে, কৃষি ও কৃষকের প্রয়োজনে যা যা করা দরকার সব করা হবে। সরকার এ ব্যাপারে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে।
মন্ত্রী বলেন, কৃষিতে প্রণোদনা বাবদ ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ৬ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে, বাকি ৩ হাজার কোটি টাকা কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ব্যবহৃত হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজ আমরা খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশ। এখন আমরা পুষ্টির দিকে নজর দিয়েছি।
ধানের দামের বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে বিভিন্ন মহলের সাথে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। দ্রুতই এর সমাধান করা হবে। কৃষিকে আধুনিকায়ন, যান্ত্রিকীকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণ করে কৃষির সকল সমস্যা দূর করা হবে। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে যা যা উল্লেখ রয়েছে তা সব বাস্তবায়ন করা হবে।
কৃষির উৎপাদনশীলতা নির্ভর করে কৃষি প্রযুক্তির ওপর। কৃষি গবেষণার বিভিন্ন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে থাকে আর কৃষি কর্মকর্তারা এ প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে নিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ৮৮টি উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের হাতে গাড়ির চাবি তুলে দেন। পর্যায়ক্রমে সকল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের গাড়ি প্রদান করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
২০১৮-২২ মেয়াদী প্রকল্পটি ৩শ’ ১৫ কোটি টাকার। এর মাধ্যমে ৪৮টি জেলার ১০৬টি উপজেলায় ১০৬টি কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ২০টি ইউনিয়নে কৃষক সেবা কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এর মাধ্যমে কৃষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং ফসলের উৎপাদশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
কৃষি সম্পসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মীর নুরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) সনৎ কুমার সাহা। এছাড়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক তাজুল ইসলাম পাটওয়ারী।
এফএইচএস/আরএস/এমকেএইচ