আলমাস ও মোস্তফা মার্টে নকল কসমেটিক্স
নামিদামি সব ব্র্যান্ডের নামে অবৈধ নকল বিদেশি কসমেটিক্স বিক্রির অপরাধে সুপার শপ আলমাস, মোস্তফা মার্ট ও বিবিবি কসমেটিক্সসহ ছয় প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার রাজধানীর বসুন্ধরা সিটিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
আরও পড়ুন : আমাদের ভুল হয়েছে : কানিজ আলমাস
ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অভিযান পরিচালনা করেন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল। অভিযানে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) - ১ এর সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করেন।
মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, আলমাস, মোস্তফা মার্ট, বিবিবি কসমেটিক্স- এগুলো নামিদামি প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। কিন্তু মানুষের সেই সরলতাকে পুঁজি করে অবৈধ পন্থায় আনা (লাগেজ পার্টির) বিভিন্ন বিদেশি প্রসাধনী সামগ্রী বিক্রি করছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এসব প্রসাধনীর গায়ে আমদানিকারকের নামও লেখা নেই। এটি আসলে ব্র্যান্ডের পণ্য নাকি কেরানীগঞ্জ, জিঞ্জিরা ও চকবাজারে তৈরি নকল কসমেটিক্স, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
আরও পড়ুন> মানহীন ৫২ পণ্য বিক্রি করায় জরিমানা
এছাড়া এসব পণ্যে ইচ্ছেমতো মূল্য লিখে বিক্রি করছে। ফলে একদিকে ভোক্তাদের ঠকাচ্ছে, অন্যদিকে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে, যা আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয়।
এ অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অনুযায়ী, আলমাস সুপার শপ, মোস্তফা মার্ট ও বিবিবি কসমেটিক্স প্রত্যেককে এক লাখ করে মোট তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া সেভলি কসমেটিক্সকে ৫০ হাজার টাকা, নিউর কসমেটিক্সকে ৫০ হাজার এবং আমরিন ফ্যাশনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ দোকানটি সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন : ‘পারসোনায় যাওয়ার আগে দুইবার চিন্তা করুন’
একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। পরবর্তীতে এ ধরনের অপরাধ করলে আইন অনুযায়ী তাদের দ্বিগুণ জরিমানাসহ দোকান সিলগালা করে দেয়া হবে বলে জানান মোহাম্মদ শাহরিয়ার।
এদিকে আমদানিকারকের স্টিকার লাগানো ছিল না বিষয়টি স্বীকার করলেও কসমেটিক্স নকল নয় বলে দাবি করেছেন বিবিবি কসমেটিক্স (বিডি বাজেট বিউটি) এর মালিক নাঈমা রহমান অরকা।
আরও পড়ুন : পারসোনাকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বসুন্ধরা সিটিতে আমাদের দুটি শো-রুম রয়েছে। এর মধ্যে একটি এই রমজান মাসে চালু হয়েছে। তাড়াহুড়োর কারণে নতুন শো-রুমে কিছু পণ্যে আমদানিকারকের স্টিকার লাগানো হয়নি। কিন্ত ওইসব পণ্য আমরা এলসির মাধ্যমে আমদানি করেছি এবং বিএসটিআইয়ের অনুমোদনও আছে। যার সব কাগজপত্র আমরা দেখিয়েছি। তারপরও স্টিকার না থাকার কারণে আমাদের এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কিন্ত নকল বলে যে অপবাদ দিয়েছে তা সঠিক নয়। বিডি বাজেটের কোনো পণ্য ভেজাল বা নকল নয় বলে দাবি করেন এ ব্যবসায়ী।
এসআই/এমএসএইচ/পিআর