ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সক্রিয় অজ্ঞান পার্টি, ঢাকায় ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার ৬২

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৫১ পিএম, ১৮ মে ২০১৯

ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রাজধানীতে বেড়েছে অজ্ঞান পার্টির অপতৎরতা। এমন অবস্থায় শুক্রবার ভোর থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অজ্ঞান পার্টির মোট ৬২ জনকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি)। তাদের অধিকাংশকেই নিউমার্কেট, গুলিস্থান, জয়কালী মন্দির, ফকিরাপুল, কুড়িল বিশ্বরোড এবং উত্তরা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৪৩ পিছ নকটিন, এপিট্রাসহ বিভিন্ন ঘুমের ওষুধ, ওষুধ মিশ্রিত জুস, খেজুর, ৭টি চোরাই মোবাইল ফোন ও একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম।

তিনি বলেন, এই চক্রের সদস্যরা চা-পান, জুসসহ বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে নেশাজাতীয় ওষুধ মিশিয়ে টার্গেট করা ব্যক্তিকে খাইয়ে অজ্ঞান করে টাকা, মোবাইল ফোনসহ সর্বস্ব কেড়ে নেয়। শুধু তাই নয়, অজ্ঞান করার পর কেড়ে নেয়া মোবাইল ফোন থেকে ভুক্তভোগীর স্বজনদের কাছে ফোন করে মুক্তিপণও দাবি করে তারা।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আসামিদের মধ্যে নিউমার্কেট এলাকা থেকে ৩৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে তারা ঢাকা শহরের বিভিন্ন মার্কেট, শপিং মহল, বাসস্ট্যান্ড, সদরঘাট, রেলস্টেশন এলাকায় আসা লোকজনকে টার্গেট করে সখ্যতা স্থাপন করে। এরপর দলের অপর সদস্যরা টার্গেট করা ব্যক্তিকে ট্যাবলেট মিশ্রিত খাবার খাওয়ার অনুরোধ জানায়। ওই ব্যক্তি রাজি হলে, তাকে সেই খাদ্য দেয়া হয়। ওই খাবার খেয়ে অচেতন হলে তার মূল্যবান দ্রব্যাদি নিয়ে চক্রের সদস্যরা দ্রুত চলে যায়।

এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এক্ষেত্রে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা খাদ্যদ্রব্য হিসেবে, চা, কফি, জুস, ডাবের পানি, পান, ক্রিম জাতীয় বিস্কুট, ব্যবহার করে থাকে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে অজ্ঞান পার্টি সদস্যদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য/প্রমাণ না থাকায় তারা আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে পুনরায় একই কাজ শুরু করেন।

কারণ তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের গ্রেফতার করা হলে পুলিশকে বাদি হয়ে মামলা করতে হয়। সেক্ষেত্রে মামলার ধারাগুলো দুর্বল হয়ে যায়। তাই এসব ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী নিজেই বাদি হয়ে মামলা করলে তা শক্ত আইনে পরিণত হয়।

এআর/এমএমজেড/এমএস

আরও পড়ুন