অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে গিয়ে মাথা ফাটলো পুলিশের
চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার বাংলাবাজার এলাকায় সড়ক দখলমুক্ত করার লক্ষ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে মাথা ফেটেছে অন্তত দুই পুলিশ সদস্যের। আহত আরও দুইজন।
সোমবার (১৩ মে) দুপুরে এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আখতার। ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে আটক করে। পরে তিনজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- বায়েজিদ বোস্তামী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মুজিবুর রহমান, নায়েক নাছির, কনস্টেবল কায়েস ও রাজ্জাক। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রাব্বি (২০), জাহাঙ্গীর (৪০) ও লিটন (২৫)।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার জানান, সড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আখতারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলাকালে সন্ত্রাসীরা বাধা দেয়। পরে তারা হামলাও চালায়। এ সময় এএসআই মুজিবুরসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, শেরশাহ এলাকা থেকে আহত অবস্থায় মুজিবুল হক নামে পুলিশের একজন এএসআইকে নিয়ে আসা হয়। ভারী কিছুর আঘাতে তার মাথা ফেটে গেছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্র জানায়, নগরের শেরশাহ বাংলাবাজার এলাকায় সিডিএর বাস্তবায়নাধীন বাইপাস সড়কের প্রবেশমুখে প্রায় ১৫০টি ভাসমান দোকান রয়েছে। সড়ক দখল করে গড়ে ওঠা এসব দোকানের কারণে ওই এলাকায় স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করতে পারে না। প্রায়ই যানজট তৈরি হয়। এদিন দুপুর আড়াইটার দিকে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আক্তারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত দোকানগুলো উচ্ছেদ করতে যায়।
এ সময় আধাঘণ্টার মধ্যে ব্যবসায়ীদের দোকানপাট সরিয়ে নিয়ে চলে যেতে বলেন ম্যাজিস্ট্রেট। কেউ কেউ দোকান সরিয়ে নেন। তবে অধিকাংশই আদেশ অমান্য করে থেকে যান। বিকেল ৩টার দিকে উচ্ছেদে নামেন ম্যাজিস্ট্রেট। উচ্ছেদ শুরুর ১৫ মিনিটের মধ্যে দোকানিরা দলবেঁধে হামলা শুরু করে। হামলার মুখে প্রথমে ম্যাজিস্ট্রেটসহ উচ্ছেদকর্মীরা নিজেদের গুটিয়ে নেন।
এ সময় ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি, অভিযানে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান, একটি ট্রাক ও একটি পে-লোডার ভাঙচুর করা হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর অবৈধ দোকানগুলো সরিয়ে শেরশাহ থেকে বাংলাবাজার পর্যন্ত এলাকা দখলমুক্ত করা হয়।
আবু আজাদ/বিএ