ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

জুলহাস-তনয় হত্যা : পলাতক মেজর জিয়াসহ ৮ জন অভিযুক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:১০ পিএম, ১৩ মে ২০১৯

রাজধানীতে আলোচিত জুলহাস মান্নান ও মাহবুব রাব্বী তনয় হত্যা মামলার তদন্ত কাজ শেষ হয়েছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম প্রধান পলাতক সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর (চাকরিচ্যুত) জিয়াসহ মোট ৮ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র প্রস্তুত করেছে তদন্তকারী ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, মার্কিন দূতাবাসের সাবেক প্রটোকল অফিসার ও ইউএস এইড কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব রাব্বী তনয়কে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ১৩ জন অংশ নিয়েছিলেন। জোড়া খুনে জড়িতরা সবাই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য। তাদের মধ্যে ৮ জনের নাম ঠিকানা পাওয়া গেছে। বাকি ৫ জনের পূর্ণ নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি। যে কারণে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট প্রস্তুত করেছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান জানান, চাঞ্চল্যকর এই দুই হত্যাকাণ্ডের মামলা ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট তদন্ত করে আসছিল। গতকাল (রোববার) অভিযোগপত্র অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, জুলহাস-তনয় হত্যায় অভিযুক্তদের মধ্যে চারজন গ্রেফতার রয়েছেন। তারা হলেন- আনসার আল ইসলামের মিডিয়া শাখার প্রধান এবং ইন্টেলিজেন্স সদস্য মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (২৫), সামরিক শাখার সদস্য ও সমন্বয়ক আরাফাত রহমান (২৪), ইন্টেলিজেন্স শাখার প্রধান শেখ আব্দুল্লাহ (২৭) এবং সামরিক শাখার সদস্য আসাদুল্লাহ (২৫)।

মামলার পলাতকরা হলেন- আনসার আল ইসলাম প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া (৪২), আকরাম হোসেন (৩০), সাব্বিরুল হক চৌধুরী (২৬) ও জুনাইদ আহমদ ওরফে মাওলানা জুনেদ আহম্মদ ওরফে জুনায়েদ (২৬)।

উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান বলেন, মামলার তদন্তকালে হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত ১৩ জনের সম্পৃক্ততা পায় সিটিটিসি। ঘটনায় সম্পৃক্ত অপর ৫ জন আসামির শুধুমাত্র সাংগঠনিক নাম জানা যায়, পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা সম্ভব না হওয়ায় ৮ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের অদূর ভবিষ্যতে গ্রেফতার করা সম্ভব হলে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।

অভিযুক্তদের মধ্যে গ্রেফতার ৪ জন বিজ্ঞ আদালতে ঘটনার সংশ্লিষ্টা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামিদের জবানবন্দি এবং অন্যান্য সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে জানা যায়, ঘটনার সাথে জড়িত আসামিরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন আনসার আল ইসলামী বিভিন্ন পর্যায়ের সক্রিয় সদস্য। সংগঠনের নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়ার (চাকরিচ্যুত) নির্দেশে সংগঠনের সামরিক শাখার সদস্যরা এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটায়।

২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানীর ৩৫ নং উত্তর ধানমন্ডি ঠিকানায় ইউএস এইড ঢাকার অফিসে কর্মরত জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব রাব্বী তনয়কে সন্ত্রাসীরা নৃসংসভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় কলাবাগান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। প্রথমে ডিএমপির ডিবি মামলাটি তদন্ত করে। পরবর্তীতে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম বিভাগ তদন্তভার গ্রহণ করে।

জেইউ/আরএস/পিআর

আরও পড়ুন