ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

দ্রুত ফল দেয়া ইভিএমের লক্ষ্য নয় : সাইদুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:২০ পিএম, ১২ মে ২০১৯

দ্রুত ফল দেয়া নয়; বরং স্বচ্ছ, নির্ভুল ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়াই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন ইভিএম প্রকল্পের সাবেক প্রকল্প পরিচালক ও জাতীয় পরিচয় ও নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।

রোববার (১২ মে) জাগো নিউজের কাছে এমন মন্তব্য করেন সাইদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘আসলে আমরা চাচ্ছি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামূলক নির্বাচন। ইভিএমের মাধ্যমে আমরা ফল কত দ্রুত দেব, এটা আমাদের মিশন নয়। নির্ভুল, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য ভোট, সেটা দেব- এটা দেয়ার জন্য টাইম (সময়) কতটা লাগছে, দ্যাট ইজ নট ফ্যাক্টর (এটা বিষয় না)। ফ্যাক্টর হলো, এই কাজগুলো ঠিকমতো হচ্ছে কি না।’

যদিও প্রায় ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্প্রতি ৪২ হাজার ২০০টি ট্যাব কিনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির এত দিনের ভাষ্য, ইভিমের দ্রুত ফল দেয়ার জন্য এসব ট্যাব কেনা হয়েছে। গত ৫ মে অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সবগুলো কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘ময়মনসিংহ সিটির ১২৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮৭ থেকে ৮৯ শতাংশ কেন্দ্রে সাড়ে ৪টার মধ্যে ফলাফল দেয়া শেষ। এখন সমস্যা হচ্ছে, ৪টার সময় যে লোকটা ভোট দিতে ভেতরে প্রবেশ করল, তার তো ভোট নিতে হচ্ছে। তার ভোট শেষ না করে তো সার্বিক ফলাফল দেয়া যাচ্ছে না। আবার কতগুলো কেন্দ্র ছিল রিমোট (প্রত্যন্ত অঞ্চল) জায়গায়, নদীর ওইপাড়ে। ভোট শেষে আসতে দেড় ঘণ্টা, দুই ঘণ্টা লাগছে। তারপর সেটা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে যাচ্ছে। সবমিলিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার মধ্যে ওখান থেকে ফল ঘোষণা করা হচ্ছে।’

সাইদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘৪টার মধ্যে ভেতরে প্রবেশ করে গেছে। ১৩টা কেন্দ্রে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ভোট হয়েছে। তারা ৪টার মধ্যে কেন্দ্রে ঢুকে গেছে, এত ভোটার। সুতরাং এই ভোটারদের তো ভোট নিতে হবে। ভোট নিতে গিয়ে দেখা গেছে, কোনো জায়গায় সাড়ে ৪টায় শেষ হইছে, কোনো জায়গায় পৌনে ৫টায় শেষ হইছে, কোনো জায়গায় সাড়ে ৫টায় শেষ হইছে। যেটা ৪টায় শেষ হলো, সেটার ফলাফল ৪টা ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে হয়ে গেছে। ভোট গণনা করতে তো ১০ মিনিট, প্রিন্ট দিতে ৫ মিনিট। সবমিলিয়ে সাড়ে ৪টার মধ্যে হয়ে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘রেজাল্ট কত তাড়াতাড়ি দেয়া যায়, সেটার জন্য তো আমরা চেষ্টা করছি।’

পিডি/বিএ/জেআইএম

আরও পড়ুন