ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বিমানে চলছে সংস্কার, বাড়ছে টিকিট বিক্রি

রফিক মজুমদার | প্রকাশিত: ০৮:১২ পিএম, ১১ মে ২০১৯

দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি ও ওএসডির মাধ্যমে বিমানে সংস্কার অভিযান চলছে। গত সপ্তাহে এক শীর্ষ কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন কর্মচারীর বদলির আদেশ জারি করা হয়েছে। এই সংস্কার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকিট বিক্রির হার বেড়েছে। বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের দাবি, বিমানের টিকিট বিক্রি-সংক্রান্ত দুর্নীতি রোধ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার ফলে টিকিট বিক্রির এই হার বেড়েছে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক জাগো নিউজকে বলেন, সংস্কার অভিযান অব্যাহত থাকবে। এখানে ভিন্ন কোনো মত প্রাধান্য পাবে না। দেশকে ভালোবাসলে বিমানের উন্নয়ন ঘটাতেই হবে।

তিনি বলেন, আমরা হাতে হাতে টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছি। বিমানের আসন বুকিং নিয়ে একটি অসাধুচক্র কাজ করছিল। মন্ত্রণালয় সেই চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ায় টিকিট বিক্রির হার বেড়েছে। আবারও যদি কোনো চক্র এমনটি করার চিন্তা করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আগামীতে বিমানের আসন বুকিং পদ্ধতির আরও আধুনিকায়ন করা হবে।

মহিবুল হক বলেন, গত ডিসেম্বরে এই চক্রটির সন্ধান পায় মন্ত্রণালয়, শুরু হয় তদন্ত। এরপরই জানুয়ারি থেকে টিকিট বিক্রির হার বাড়তে থাকে। গত বছরের তুলনায় গত চার মাসে টিকিট বিক্রির হার বেড়েছে ৩৬ শতাংশ। টাকার অঙ্কে এক হাজার ৪০৪ কোটি টাকা বেশি।

সচিব বলেন, বিমানের টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা অনলাইনে করা হলেও সংস্থাটির কর্মকর্তারা তা হাতে হাতেই করতেন। এর ফলে সেই অসাধুচক্র টিকিট বিক্রিতে বাধা দিত এবং বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে বেশি দামে টিকিট বিক্রির চেষ্টা করত। এর ফলে অনেক টিকিট অবিক্রিত থেকে যেত। যার জন্য লোকসান গুনতে হত সরকারি সংস্থাটিকে।

বিমানের হিসাব শাখার একটি সূত্র জানায়, গত বছরের এপ্রিল মাসের তুলনায় সংস্থাটির টিকিট বিক্রির হার বেড়েছে ৫২.৭২ শতাংশ। যার আর্থিক মূল্য ৪১৩ কোটি টাকা। গত বছর বিমানের লোকসান হয়েছিল ২০১ কোটি টাকা। আর এ বছরের প্রথম চার মাসেই সংস্থাটি লাভ করেছে ২০০ কোটি টাকার বেশি।

যদিও গত মার্চ পর্যন্ত অনেক খালি আসন নিয়েই বিমানকে উড়তে হয়েছিল তারপরও এপ্রিলের প্রথম থেকে বিমানের লন্ডন ফ্লাইটের সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যদি অনলাইনে টিকিট বিক্রির এই ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা যায় তাহলে এ বছরের মধ্যেই বিমান লাভের মুখ দেখতে পারবে বলেও জানান বিমানের মার্কেটিং বিভাগের এক কর্মকর্তা।

আরএম/বিএ/এমএস

আরও পড়ুন