এখনও জমেনি ঈদের কেনাকাটা
রমজানের চতুর্থ দিন আজ, শুক্রবার। রোজার এক সপ্তাহও এখনও পার হয়নি, ফলে ঈদের কেনাকাটা এখনও সেভাবে জমে না উঠলেও শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় দিনটাকে নষ্ট করতে চাননি অনেকেই।
শপিংমলগুলোর তুলনায় ফুটপাত ও সাধারণ মার্কেটে কেনাকাটার তোরজোড় আজ একটু বেশি ছিল। দোকানিরা বলছেন, ছুটির দিন শুক্রবার থেকেই যেন আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের বেচাকেনা শুরু হলো। ১৫ রোজার পর থেকে পুরোদমে শুরু হবে ঈদের বিক্রি।
তবে দোকানিরা ইতোমধ্যে ঈদকে সামনে রেখে তাদের প্রস্তুতি শেষ করেছেন। তারা বলছেন, শবেবরাতের পর থেকে দোকান মালিকরা মালামাল আনতে শুরু করেন, পয়লা রোজার আগেই তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স ও নিউ মার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানই ঈদকে কেন্দ্র করে তাদের প্রস্তুতি শেষ করেছে। দোকানে দোকানে শোভা পাচ্ছে বাহারি রঙের-ঢঙের পণ্য।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার ফুটপাত দিয়ে হাঁটার উপায় নেই। ঈদের ব্যবসা শুরু হয়েছে কি-না জানতে চাইলে নূর ম্যানশন শপিং সেন্টারের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ঈদের বেচাকেনা এহন শুরু না অইলে কহন অইব।’
ফুটপাতের জুতা বিক্রেতা আলমগীর জানান, ঈদকে সামনে রেখে তাদের বেচাবিক্রি শুরু হয়ে গেছে। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় মানুষের ভিড় একটু বেশি। তবে গত বৃহস্পতিবারও ভিড় ছিল, সেটা শুক্রবারের তুলনায় একটু কম।
বাড্ডা থেকে নিউ মার্কেট এলাকায় পরিবার নিয়ে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন হুমায়ূন কবীর, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। কবীর বলেন, ‘ঈদের আগ মুহূর্তে কেনাকাটা করা ঝামেলার। তাই এখনই কেনাকাটা করতে এসেছি।’
সকালে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, সকালেই ক্রেতাদের মোটামুটি উপস্থিতি। দোকানিদের দাবি, শুক্রবার ক্রেতার উপস্থিতি একটু বাড়তিই থাকে। সেই সঙ্গে সামনের ঈদ বাড়তি মাত্রা যোগ করলেও বেচাবিক্রি প্রত্যাশিত না।
ব্যবসায়ী মো. মনির হোসেনের দাবি, ‘ঈদের কেনাকাটা এখনও পুরোপুরি শুরু হয়নি। অন্যবার যাও কম-বেশি বেচাকেনা হয়, এবার সেটাও হচ্ছে না। গরম বেশি থাকার কারণেও সেটা হতে পারে। আশা করছি, আজ (শুক্রবার) থেকেই ঈদের বেচাকেনা শুরু হবে।’
ওয়েস্টিনের ম্যানেজার মো. মামুন বলেন, ‘ঈদের প্রভাব পড়েছে হালকায়। তবে পুরোদমে ঈদের কেনাকাটা শুরু হবে ১৫ রোজার পর থেকে।’ ফুটপাত ও সাধারণ মার্কেটের তুলনায় শপিং মলে ক্রেতাদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম।
রাজধানীর ওয়ারি থেকে ছেলে নাবিলকে নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছিলেন লতা নামে এক নারী। লতা বলেন, ‘ঈদের কেনাকাটা করতেই এসেছি। এই সময়টাতে দোকানগুলো হালকা ফাঁকা থাকে। সময় নিয়ে ঘুরেফিরে পছন্দের জিনিসটা কেনা যায়। পছন্দ হলে আজকেই অনেক কিছু কিনে নিয়ে যাব। আর না হলে আগামী সপ্তাহে আবার আসব।’
পিডি/এনএফ/পিআর