চাঁদাবাজি বন্ধ হলে মাংসের দাম আরও কমানো যাবে : সাঈদ খোকন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, গাবতলী পশু হাটের চাঁদাবাজি বন্ধ করা গেলে গরুর মাংসের দাম আরও কিছুটা কমানো যাবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর হাতিরপুল কাঁচাবাজার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে গত সোমবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি), ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি এবং মাংস ব্যাবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়।
বৈঠকে ১ম রমজান থেকে ২৬ রমজান পর্যন্ত রাজধানী ঢাকায় মাংসের যে দাম নির্ধারণ করা হয় সে অনুযায়ী দেশি গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫২৫ টাকা এবং বিদেশি বা বোল্ডার গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫০০ টাকা ও মহিষের মাংস কেজি প্রতি ৪৮০ টাকায় বিক্রয়ের জন্য মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে খাসির মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা এবং ভেড়া ও ছাগীর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা ধরে বিক্রির জন্য এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও কিছু কিছু জায়গা ছাড়া বেশির ভাগ জায়গায় নির্ধারিত মাংসের মূল্যে রাখা হচ্ছে না বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
এদিকে রাজধানীর হাতিরপুল কাঁচাবাজার পরিদর্শন শেষে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, গাবতলী পশু হাটের চাঁদাবাজি বন্ধ করা গেলে গরুর মাংসের দাম আরও কিছুটা কমানো যাবে। গাবতলীতে চাঁদাবাজির বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা দক্ষিণের আওতামুক্ত ২১টি কাঁচাবাজারে ডিজিটাল মূল্যতালিকা বোর্ড স্থাপন করা হবে যাতে বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে ঘুরে মূল্য তালিকা হালনাগাদ করার পরিবর্তে নগর ভবনে বসেই এটা করা যায়।
মেয়র সাঈদ খোকন, বলেন আমাদের জনবলের সীমাবদ্ধতা থাকায় সীমিত জনবল দিয়ে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করছি। খাদ্যে ভেজাল দিলে শুধু জরিমানা নয় এর সাথে কারাদণ্ড প্রদানের জন্যও মনিটরিং কমিটিকে বলা হয়েছে।
এ সময় মেয়রের সঙ্গে কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের ম্যাজিস্ট্রেটসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। পরে মেয়র মাংসের দোকানি, ক্রেতা সাধারণের সাথেও দ্রব্যসামগ্রীর মূল্য নিয়ে কথা বলেন।
এর আগে গত সোমবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে মাংস ব্যবসায়ীদের বৈঠকে মাংস ব্যাবসায়ীরা মেয়রের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বলেছিলেন, গরুর মাংসের দাম বাড়ার পেছনে অন্যতম কারণ হল গাবতলীর হাটের কতিপয় চাঁদাবাজদের উৎপাত। তাদের কারণে প্রতি গরু প্রতি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকাও খাজনা দিতে হয়। তাই তাদেরকে যদি নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাহলে মাংসের দাম অনেক কমে যাবে। এতে জনগণ উপকৃত হবে।
এএস/এসএইচএস/পিআর