ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সাবেক ইউপি ভবনে বসছে ডিএনসিসির অস্থায়ী কার্যালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৫৮ পিএম, ০৭ মে ২০১৯

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সম্প্রসারিত অর্থাৎ নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ার্ডগুলোতে উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে নাগরিক সেবা প্রদানের স্বার্থে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সম্প্রসারিত অংশের সাবেক ইউপি ভবনগুলো অস্থায়ীভাবে আঞ্চলিক কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দিতে যাচ্ছে ডিএনসিসি।

এরই ধারাবাহিকতায় সাবেক হরিরামপুর ইউনিয়নকে নবসৃষ্ট ৫১, ৫২, ৫৩ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডগুলোর জন্য ডিএনসিসির অঞ্চল-৬ এর কার্যালয় হিসেবে প্রাক্তন হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ব্যবহার করা হবে। ভবনটির জমির পরিমাণ ০.২৮ একর। এটি তিন কক্ষবিশিষ্ট একতলা ভবন। এছাড়া সাবেক উত্তরখান ইউনিয়নকে নবসৃষ্ট ৪৪, ৪৫ ও ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডগুলোর জন্য ডিএনসিসির অঞ্চল-৮ এর কার্যালয় হিসেবে প্রাক্তন উত্তরখান ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ও নতুন ভবনটি ব্যবহার করা হবে।

পাশাপাশি সাবেক ভাটার ও ডুমনী ইউনিয়নকে নবসৃষ্ট ৩৯, ৪০ ও ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডগুলোর জন্য ডিএনসিসির অঞ্চল- ৯ এর কার্যালয় হিসেবে প্রাক্তন ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ব্যবহার করা হবে। একই সঙ্গে সাবেক বাড্ডা, সাতারকুল ও বেরাইদ ইউনিয়নকে নবসৃষ্ট ৩৭, ৩৮, ৪১ ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ডগুলোর জন্য ডিএনসিসির অঞ্চল- ১০ এর কার্যালয় হিসেবে প্রাক্তন বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ব্যবহার করা হবে। ভবনটির জমির পরিমাণ ০.১৯ একর। ভবনটি তিন কক্ষবিশিষ্ট একতলা পাকা ভবন।

তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সচিব রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়া।

অন্যদিকে নবসংযুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ সবপ্রকার নাগরিক সুবিধা প্রদান কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ডিএনসিসির ১, ২, ৩ ও ৫ অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে দেয়া হয়েছে ৬, ৭, ৮, ৯ ও ১০ আঞ্চলিক কার্যালয়ের। ডিএনসিসি সচিব রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এসব অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়।

অঞ্চল- ১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে দেয়া হয়েছে অঞ্চল- ৭ ও ৮ এর দায়িত্ব। অঞ্চল- ২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেয়া হয়েছে অঞ্চল- ৬ এর অতিরিক্ত দায়িত্ব। অঞ্চল- ৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেয়া হয়েছে অঞ্চল- ৯ এর অতিরিক্ত দায়িত্ব। অঞ্চল- ৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেয়া হয়েছে অঞ্চল- ১০ এর অতিরিক্ত দায়িত্ব।

ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ার্ডগুলোতে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে- ডিএনসিসির সঙ্গে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার নির্মাণকাজ এবং উন্নয়ন (ফেজ- ১) প্রকল্পের আওতায় ১৬১.৭২ কিলোমিটার সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নয়নের মাধ্যমে যানচলাচলের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও যানজটের নিরসন করা। ২২২.৮২ কিলোমিটার নর্দমা স্থাপন এবং ২৮.৫১ কিলোমিটার খাল উন্নয়নের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসন করা। পাশাপাশি যান ও পথচারী চলাচলের সুবিধার্থে পরিবেশবান্ধব ও উন্নত প্রযুক্তির ১১ হাজার ২২৪টি এলইডি বাতি স্থাপনের মাধ্যেমে কার্বন নিঃসরণ ও বিদ্যুতের অপচয় হ্রাস করা।

অপরদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে যুক্ত হওয়া আটটি ইউনিয়নের উন্নয়ন কাজের বিষয়ে জানা গেছে, ৭৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল, সারুলিয়া- এ চার ইউনিয়নের ১৫২.৩৪ কিলোমিটার রাস্তা, ৬.১০ কিলোমিটার ফুটপাত, ১৫৮.৫০ কিলোমিটার নর্দমা, ১৪৩.৪৭ কিলোমিটার রাস্তায় এলইডি লাইট, ৭০৬৩টি বৃক্ষরোপনসহ নানা অবকাঠামোর উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান।

এছাড়া মান্ডা, ডেমরা, নাসিরাবাদ ও দক্ষিণগাঁও- এ চার ইউনিয়নের জন্য ৪৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৫.৭২ কিলোমিটার রাস্তা, ৪৮ কিলোমিটার নর্দমা, ৭.৯৫ কিলোমিটার ফুটপাত, ১৭টি আরসিসি ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৯ মে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটিতে (নিকার) ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে আটটি করে ইউনিয়ন সংযুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে নবগঠিত ৩৬টি ওয়ার্ডকে ১০টি অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়।

গত বছরের ৩০ জুলাই ডিএসসিসির শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল, সারুলিয়া, ডেমরা, মান্ডা, দক্ষিণগাঁও ও নাসিরাবাদ ইউনিয়নকে ৫৮, ৫৯, ৬০, ৬১, ৬২, ৬৩, ৬৪, ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯, ৭০, ৭১, ৭২, ৭৩, ৭৪ ও ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়।

অপরদিকে ডিএনসিসির অন্তর্ভুক্ত বাড্ডা, ভাটারা, সাতারকুল, বেরাঈদ, ডুমনি, উত্তরখান, দক্ষিণখান ও হরিরামপুর ইউনিয়নকে ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪, ৪৫, ৪৬, ৪৭, ৪৮, ৪৯, ৫০, ৫১, ৫২, ৫৩ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দুই সিটি কর্পোরেশনের নবসংযুক্ত এসব ওয়ার্ডে নির্বাচনের মাধ্যেমে একজন করে কাউন্সিলর নির্বাচিত করা হয়।

এএস/এমএআর/পিআর

আরও পড়ুন