গভীর রাতে ঘুম ভাঙল নগরবাসীর
তখনও রাত ৪টা বাজতে কয়েক মিনিট বাকি। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন রাজপথ ও পাড়া-মহল্লার অলি-গলিতে সুনশান নীরবতা। রাস্তায় দু-চারজন করে মানুষ ছুটছেন মসজিদের দিকে। রাস্তার আলো অন্ধকারে পড়ার কাণে ছায়া পড়ে একেকজন মানুষকে দ্বিগুণ সংখ্যক দেখাচ্ছে।
একটু পরই মসজিদ থেকে ভেসে আসলো আল্লাহ আকবর আল্লাহ আকবর আজানের সুমধুর ধ্বনি। আর এরই মাঝে শেষ হলো পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম দিনের সেহরি খাওয়ার নির্ধারিত সময়।
এর আগে রাত ৩টার পর গভীর রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা ঘুম থেকে জেগে ওঠেন। কারও ঘুম অ্যালার্মের শব্দে, আবার কারও ঘুম পরিবারের মুরুব্বির ডাকে ভেঙে যায়।
প্রথম রোজায় ঘুম থেকে জেগে নাও উঠতে পারেন এ আশঙ্কায় মুরুব্বিরা একেবারেই সেহরি খেয়ে তবেই ঘুমান। বিভিন্ন পরিবারে ছোটবড় সকলেই রোজা রাখতে সেহরি খেতে ওঠেন। বছরের অন্যান্য সময় এমনভাবে গভীর রাতে টেবিলে বসে খাওয়া হয় না।
আজ থেকে আগামী একমাস মুসলিম পরিবারের সদস্যরা রোজা রাখার নিয়তে সেহরি খেতে প্রতিদিন গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠবেন। আজ ফজরের জামাতে অন্যান্য দিনের চেয়ে মুসল্লির উপস্থিতি বেশি ছিল।
এমইউ/বিএ