এ মাসেই আসতে পারে আরেকটি ঘূর্ণিঝড়
মাত্রই বিদায় নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। এখন পর্যন্ত ভালোভাবে এর প্রভাব কাটেনি। এরই মধ্যে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। সেই সঙ্গে একটি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদফতরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রে গত ২ মে আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দেয়ার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি নিয়মিত বৈঠকে বসে। সেই বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান ও আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ সই করা এক নথি থেকে মে মাসের আবহাওয়ার এ পূর্বাভাস পাওয়া যায়।
মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলেও আভাস দিয়েছে দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস। তাতে বলা হয়, ঢাকায় মে মাসের স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হয় ২৯২ মিলিমিটার, এবার মে মাসে সেটার পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ২৮০ থেকে ৩৪৫ মিলিমিটার। ময়মনসিংহ বিভাগে মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৩৮০ মিলিমিটার, এবার হতে পারে ৩৬০ থেকে ৪৫০ মিলিমিটার; চট্টগ্রাম বিভাগে স্বাভাবিক ৩১০, হতে পারে ৩০০ থেকে ৩৭০ মিলিমিটার; সিলেট বিভাগে স্বাভাবিক ৫১০, হতে পারে ৫০০ থেকে ৬১০ মিলিমিটার; রাজশাহী বিভাগে স্বাভাবিক ১৯৬, হতে পারে ১৯০ থেকে ২৩৫ মিলিমিটার; রংপুর বিভাগে স্বাভাবিক ২৬১, হতে পারে ১৫০ থেকে ৩১০ মিলিমিটার; খুলনা বিভাগে স্বাভাবিক ১৭৫, হতে পারে ১৬৫ থেকে ২১০ মিলিমিটার এবং বরিশাল বিভাগে স্বাভাবিক ২৬০, হতে পারে ২৫০ থেকে ৩১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত।
ঝড়ের বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়, দেশের উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত ২ থেকে ৩ দিন মাঝারি বা তীব্র বজ্রঝড় (কালবৈশাখী) ও দেশের অন্য জায়গায় ৩ থেকে ৪ দিন হালকা বা মাঝারি বজ্রঝড় হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
তাপমাত্রার বিষয়ে তাতে বলা হয়, দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি তীব্র তাপপ্রবাহ হতে পারে, যেখানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে। আর অন্য জায়গায় ১ থেকে ২টি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) অথবা মাঝারি (৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এ মাসে নদ-নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকবে বলেও দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
পিডি/এসআর/এমকেএইচ