ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনায় হাই প্রোফাইল উপদেষ্টা কমিটি গঠিত

প্রকাশিত: ০৫:১৭ পিএম, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

নিরাপদ খাদ্য আইনের যথাযথ প্রয়োগের লক্ষ্যে হাই প্রোফাইল জাতীয় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা গঠন করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। খাদ্য মন্ত্রীকে সভাপতি, মন্ত্রি-পরিষদ সচিবকে সহ-সভাপতি ও খাদ্যসচিবকে সদস্যসচিব করে ২৮ সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ১৩ জন সচিব, জাতীয় সংসদের স্পিকার, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চারজন চেয়ারম্যান, পাঁচজন মহাপরিচালক, একজন পরিচালক ও এফবিসিসিআই সভাপতি। খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ২৪ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ কমিটি গঠন করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জাতীয় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা কমিটি নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ এবং নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনাবিষয়ক নীতিমালা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা প্রদান করবে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, হাই প্রোফাইল উপদেষ্টা কমিটির প্রথম সভা আগামী রোববার কমিটি অনুষ্ঠিত হবে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠেয় ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন কমিটির সভাপতি ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম খান।

উপদেষ্টা কমিটির বৈঠককে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন যাবত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ভীষণ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। নিরাপদ খাদ্য আইনের আওতায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কতোটুকু দায়িত্ব রয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানতে চেয়েছে সচিব, যুগ্মসচিবসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুই বছর আগে নিরাপদ খাদ্য আইন প্রণীত হলেও সঠিক দিক নির্দেশনার অভাবে আইনটির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন এখনো শুরু হয়নি। নিরাপদ খাদ্য আইনের সঙ্গে একাধিক মন্ত্রণালয় জড়িত থাকলেও সমন্বয়হীনতার কারণে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা নিজেদের মতো কাজ করছেন।

সঠিক আইনের প্রয়োগ না থাকায় খাদ্যে নকল ও ভেজাল এখনো বন্ধ হয়নি। বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানকালে নকল ও ভেজাল পণ্যের ছড়াছড়ি দেখতে পাওয়া যায়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, দেরিতে হলেও জাতীয় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা কমিটি গঠন ইতিবাচক পদক্ষেপের অংশ। এ কমিটির দিক নির্দেশনায় অচিরেই আইনের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন শুরু হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এমইউ/বিএ