লতিফ সিদ্দিকীর আসন শূন্য ঘোষণা
অবশেষে আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচিত এমপি আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা করেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের বিরতির পর জাতীয় সংসদকে লতিফ সিদ্দিকীর পদত্যাগের বিষয়টি অবহিত করেন তিনি।
স্পিকার বলেন, ‘মাননীয় সদস্যবৃন্দ আমি এখন দশম জাতীয় সংসদের একজন সদস্যের পদত্যাগের বিষয় অবহিত করছি। জাতীয় সংসদের আসন ১৩৩ এবং টাঙ্গাইল-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী গত ১ সেপ্টেম্বর সংসদে উপস্থিত হয়ে নিজ আসন থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। আমার কাছে তিনি একটি পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। আমি পদত্যাগপত্রটি গ্রহণ করা মাত্র সংবিধানের ৬৭ অনুচ্ছেদের ২ দফা অনুযায়ী আসনটি শূন্য হয়ে যায়’।
কার্যপ্রাণালী বিধির ১৭৮ এর ৩ দফা অনুযায়ী কোনো সংসদ সদস্য পদত্যাগ করলে সংসদে জানানোর বিধান রয়েছে।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের ৭ম অধিবেশনের প্রথম কার্যদিবসে বিতর্কিত সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী সংসদে উপস্থিত হয়ে স্পিকারের অনুমতি নিয়ে ১৫ মিনিটের বক্তব্যে তার নিজের অবস্থান তুলে ধরেন এবং সংসদ সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে স্পিকারের কাছে চিঠি দেন। হজ, তাবলিক-জামাত ও মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেয়ায় দেশজুড়ে তার বিরুদ্ধে ঝড় বয়ে যায়। এর পরে তিনি দেশে ফিরে গ্রেফতার হন।
আওয়ামী লীগ লতিফ সিদ্দিকীকে দল ও মন্ত্রিত্ব থেকে বহিষ্কার করে তার সংসদ সদস্য পদ খারিজ করার জন্য স্পিকারের নিকট চিঠি দেয়। এর পরে তার এমপি সংসদ সদস্য পদ থাকবে কিনা তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে শুনানির জন্য চিঠি দেন স্পিকার। কিন্তু লতিফ সিদ্দিকী ইসির শুনানির বৈধতা নিয়ে আদালতে রিট করেন। কিন্তু আদালত তা খারিজ করে দেন। খারিজ হবার পরে নির্দিষ্ট তারিখে লতিফ সিদ্দিকী ইসিতে যান এবং বলেন, শুনানির প্রয়োজন নেই, আমি সংসদ সদস্য পদ ত্যাগের জন্য স্পিকারের নিকট নিজেই চিঠি দেব। গত মঙ্গলবার তিনি সে সংক্রান্ত চিঠি স্পিকারের নিকট জমা দেন। এর ফলে তার আসনটি শূন্য হলো।
এইচএস/একে/পিআর