মৎস্য আইনের সংশোধন ছাড়া ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ না রাখার অনুরোধ
সরকারের ব্যবস্থাপনায় ত্রিদেশীয় বৈঠকের সিদ্ধান্তের আলোকে সাগরে ফিশিং বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন মৎস্যজীবী ঐক্য ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ। এর পাশাপাশি তারা মৎস্য আইনের সংশোধন ছাড়া ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ না রাখার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানান তারা।
শনিবার (৪ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম হোসেন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান হয়।
ফিশিং বোর্ট মালিক সমিতি ও মৎস্যজীবী ঐক্য ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফিশিং বোর্ট মালিক সমিতির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম।
বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মৎস্যজীবী ঐক্য ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সিকদার ও ফিশিং বোর্ট মালিক সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম মল্লিক। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মৎস্যজীবী ঐক্য ফেডারেশনের সভাপতি রবীন্দ্র নাথ বর্মন, জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সহ-সম্পাদক খন্দ্রকার নাছির আহম্মেদ, ফিশিং বোর্ট মালিক সমিতি সদস্য মোহাম্মদ হোসেন, মৎস্যজীবী ঐক্য ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন আকন, মৎস্যজীবী ঐক্য ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আমির হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের জলমহল ব্যবস্থাপনা কমিটিতে মৎস্যজীবী সমিতির প্রতিনিধি রাখতে হবে এবং ফিশিং বন্ধ, জাটকা সংরক্ষণ, মা ইলিশ রক্ষায় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান ও খাদ্য সহায়তা দিতে হবে। বন্টনে চেয়ারম্যান, মেম্বার, প্রশাসনের দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে, মৎস্যজীবী জেলেদের খাদ্যসহ বিভিন্ন উপকরণ বন্টনে মৎস্যজীবী প্রতিনিধির স্বাক্ষর ছাড়া মাস্টাররোল গ্রহণ করা যাবে না। ফিশিং বোর্ট মালিকদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ঋণ সুবিধা সহ জীবন বিমার আওতায় এনে বোর্ট প্রতি ৩০ লাখ টাকা দিতে হবে এবং ফিশিং বোর্টে কর্মরত জেলেদের ৫ লাখ টাকা জীবন বিমা দিতে হবে। সরকারের সকল প্রকল্পে মৎস্যজীবী জেলে সমিতি প্রতিনিধি অন্তর্ভূক্ত করতে হবে এবং সরকারের ব্যবস্থাপনায় প্রতি বোর্টে জলোচ্ছ্বাস, বন্যা ও জলদস্যু থেকে রক্ষার জন্য প্রেসমেকার-ওকিটকির ব্যবস্থা করতে হবে। বন্যায় ও জলোচ্ছ্বাসে ট্রলার ডুবে গেলে জেলেদের উদ্ধারে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডের দ্রুতগতি সম্পন্ন জাহাজ থাকতে হবে।
এফএইচএস/এমবিআর