রমজানে ভেজাল রোধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়
রমজানে পচা-বাসি ও ভেজাল খাবার রোধে খাদ্য মন্ত্রণালয় জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, ভোক্তা সাধারণকে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চয়তা দিতে এ নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২ মে) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘রমজানে নিরাপত্তা খাদ্য নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় খাদ্য সচিব শাহাবউদ্দিন আহমদ, অতিরিক্ত সচিব আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য অধিদফতরের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক, নিরাপদ খাদ্য কর্পোরেশনের মাহবুব কবির, বাণিজ্য, কৃষি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, র্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থা ও মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের খাদ্যশস্যের মজুত সন্তোষজনক, মাসিক চাহিদা ও বিকরণ পরিকল্পনার তুলনায় পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। এ মুহূর্তে খাদ্যশস্যের কোন ঘাটতি নেই। বর্তমানে সরকারি গুদামে মোট ১৩.৪০ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। এর মধ্যে চাল ১০.৬৭ লাখ টন এবং গম ১.৭৩ লাখ টন।
তিনি বলেন, খাদ্যশস্যের বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে এবং নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য রমজান মাসে ১৮ টাকা কেজি দরে আটা এবং ৩০ টাকা দরে চাল বিক্রি অব্যাহত থাকবে। একই সঙ্গে নিরাপদ খাদ্য ও ভেজালবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকার পাশাপাশি খাদ্য স্থাপনাসমূহ মনিটরিং জোরদারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শককে আসন্ন রমজান উপলক্ষে খাদ্য স্থাপনা ও বাজার পরিদর্শন জোরদার করার জন্য প্রয়োজনীয় নিদের্শনা দেয়া হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকাসহ সারাদেশে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, বাজারজাতকরণ, সরবরাহ ও বিপণন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা উপজেলায় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনায় সমন্বয় কমিটির মাধ্যমে ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হবে। এছাড়া কাঁচাবাজার, ইফতার বাজার, খাদ্য স্থাপনা, হোটেল রেস্তোরাঁয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও খাদ্যের নিরাপত্তা রক্ষায় পরিদর্শন দল গঠনের মাধ্যমে নিয়মিত তদারকি করা হবে।
খাদ্যসচিব শাহাবউদ্দিন আহমদ জানান, রমজানে বিদেশ থেকে আমদানি করা খাদ্যদ্রব্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আমদানি তদারকি, বিভিন্ন খাদ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের খাদ্যের দূষণ, ভেজাল, মেয়াদ উত্তীর্ণ ইত্যাদি তদারকিতে মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এছাড়া কৃষিজাত খাদ্যপণ্য সংরক্ষণ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে।
এমইউএইচ/আরএস/পিআর