বিমানের এমডিকে অব্যাহতি
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এ এম মোসাদ্দিক আহমেদকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। অনিয়ম-দুর্নীতির নানা অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিমানের সার্বিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে মঙ্গলবার বিমানের বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে নতুন এমডি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিমানের পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন্স) ও সিনিয়র ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিল। তিনি এর আগে কয়েক দফা ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
জানা গেছে, আগামী ৩১ মে মোসাদ্দিক আহমেদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। টানা তিন বছর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী পদে চুক্তিভিত্তিক ছিলেন তিনি। এ সময় বিমানের টিকিট বিক্রি ও কার্গোর অনিয়ম বন্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। বরং কার্গোর ৪১২ কোটি টাকা লুটপাট করা তৎকালীন পরিচালক আলী আহসান বাবু ও কার্গোর বর্তমান জিএম আরিফ উল্লাহর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে গড়িমসি করেন। গত দুইদিন বিমান অ্যাডমিন শাখা থেকে ফাইল পাঠানো হলেও মোসাদ্দিক আহমেদ চার্জ গঠনে অনুমতি দেননি।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বিদায়ী পরিচালক আলী আহসান বাবুর কার্গো জালিয়াতি তদন্ত করে মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি। সদ্য ওই কমিটির প্রধান ডেপুটি সেক্রেটারি লন্ডন স্টেশন থেকে আসা কান্ট্রি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ তদন্ত করতে লন্ডনে যান। অভিযোগগুলোর সত্যতাও মিলেছে। এসর অনিয়ম মোসাদ্দিক আহমেদের সময়ে হওয়ার তার বিরুদ্ধে অ্যাকশনে গেল বিমান পরিচালনা পর্ষদ।
১৯৮৩ সালে বিমানের সহকারী ম্যানেজার পদে কাজ শুরু করেন মোসাদ্দিক আহমেদ। ২০১৫ সালে বিমানের পরিচালক পদ থেকে অবসরে যান তিনি। পরিচালক পদে দায়িত্বপালনকালীন বিমানের ভারপ্রাপ্ত এমডি ও প্রধান নির্বাহী পদের দায়িত্বে পাওয়া যায় তাকে। আগেও অনিয়ম-দুর্নীতির নানা অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক জাগো নিউজকে বলেন, বিমানের সার্বিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে মঙ্গলবার বিমানের বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
আরএম/এনএফ/বিএ