রোজায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাড়ানো হয়েছে অভিযান
রমজানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এর অধিনস্থ প্রতিষ্ঠান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের বাজার অভিযান দ্বিগুণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম লস্কর। তিনি বলেন, রমজান মাসে শুক্র ও শনিবারও বাজারে অভিযান চালানো হবে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর আয়োজিত বিশ্ব ভোক্তা দিবস এর আলোচনা সভা (২ মে) আয়োজন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং সচিব মো. মফিজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
শফিকুল ইসলাম লস্কর বলেন, আমরা রমজান ছাড়া অন্যান্য মাসে শুক্র ও শনিবার বাদে প্রতিদিন দু’টি করে বাজারে অভিযান চালাই। তবে রমজান উপলক্ষে এখন আমরা শুক্র ও শনিবারসহ চারটি বাজারে অভিযান চালাচ্ছি। এর পাশাপাশি রমজানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চারটি টিম বাজারে অভিযান চালাবে। অন্যান্য সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি টিম বাজারে অভিযান চালায়।
তিনি বলেন, অধিদফতর ও মন্ত্রণালয় মিলে প্রতিদিন ৮টি টিম বাজারে খাদ্যের মান ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে অভিযান চালাবে। যা অন্যান্য সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ। অধিদফতরের কর্মকর্তাদের একটা সুবিধা হচ্ছে যে, তাদের অভিযান চালাতে ম্যাজিস্ট্রেটের প্রয়োজন হয় না। আইন অনুযায়ী অধিদফতরের একজন সহকারী পরিচালক অভিযান চালিয়ে জরিমানা আরোপ করতে পারেন।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভোক্তার অধিকার সুরক্ষায় সরকার কাজ করছে। দেশের সকল জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। ভোক্তার অধিকার রক্ষায় সরকার আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে। ভোক্তাকে অধিক সচেতন করা আমাদের দায়িত্ব। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, কোনো ভোক্তা তার অধিকার বঞ্চিত হয়ে অভিযোগ করলে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫ শতাংশ নগদ অর্থ প্রদান করা হচ্ছে। বিভিন্ন অভিযোগে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর গত ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ৪৬ কোটি ৭৪ লাখ ৫৩ হাজার ৬৫০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে। এর মধ্য থেকে অভিযোগকারীকে ৮১ লাখ ৩০ হাজার ৩০২ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, টিসিবি খোলা বাজারে ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রয় শুরু করেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। পণ্যের মজুত চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি রয়েছে। বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো পণ্যের সঙ্কট হবে না। বিগত দুই বছরের তুলনায় এবার অনেক পণ্যের মূল্য কম আছে। সারা বছর পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক থাকবে।
এমইউএইচ/আরএস/পিআর