ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বিভাগীয় পর্যায়ে বিনিয়োগ-ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নে কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:১৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৯

দেশের বেসরকারি খাতে স্থানীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করে তাতে সহায়তা দেয়া এবং বিভাগীয় পর্যায়ে বিনিয়োগ ও ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নে কমিটি গঠন করেছে সরকার।

বিভাগীয় কমিশনারকে আহ্বায়ক করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ‘বিভাগীয় বিনিয়োগ ও ব্যবসায় উন্নয়ন সহায়তা কমিটি’ গঠন করে আদেশ জারি করে।

২৬ সদস্যের এ কমিটিতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।

কমিটিকে প্রতি তিন মাসে একবার এবং প্রয়োজনে একাধিকবার সভায় বসতে হবে। বছরের শুরুতে সভায় বাৎসরিক ক্যালেন্ডার তৈরি করে তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়ে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করতে হবে।

কমিটি প্রয়োজনে যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে কো-অপ্ট করতে পারবে বলেও আদেশে বলা হয়েছে।

কমিটির কার্যপরিধি

কমিটি বিনিয়োগ ও ব্যবসা সহজীকরণ ও প্রসারের লক্ষ্যে বিদ্যমান নীতিমালা, আইন, বিধি ও পদ্ধতি সংস্কার এবং প্রয়োজনে নতুন নীতিমালা, আইন, বিধি ও পদ্ধতি প্রচলনের লক্ষ্যে সুপারিশমালা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবে। বিশিষ্ট উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ী, স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্য, শিক্ষক, গবেষক, সরকারের বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থা ও বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরগুলোর কর্মকর্তাদের নিয়ে বিভাগে বিনিয়োগের জন্য সম্ভাবনাময় এলাকা ও খাত চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণে প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবে।

বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা ও প্রণোদনাগুলো প্রচারের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে উৎসাহিতকরণের কার্যক্রম গ্রহণ করবে কমিটি।

একই সঙ্গে বিনিয়োগ আবহ ও উদ্যোক্ত সৃষ্টির কৌশল নির্ধারণ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন, নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সংগ্রহের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবে বিভাগীয় কমিটি।

কমিটি নারী, তরুণ ও বিশেষভাবে সক্ষম সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাদের সঙ্গে এঞ্জেল ইনভেস্টরদের যোগাযোগ স্থাপন; জেলা বিনিয়োগ ও ব্যবসার উন্নয়ন সহায়তা কমিটির কাছ থেকে প্রাপ্ত বিষয়াদি সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণ; বিনিয়োগ ও ব্যবসার ক্ষেত্রে মধ্যস্বত্বভোগীদের অনাকাঙ্ক্ষিত প্রভাব ও হস্তক্ষেপ বন্ধের কাজ করবে।

একই সঙ্গে বিনিয়োগ সহজীকরণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সেবাদানকারী সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিয়মিত সভার আয়োজন এবং প্রাপ্ত সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন, উচ্চ প্রযুক্তির ভারী শিল্প এবং সাপ্লায়ার্স ও লিংকেজ শিল্প স্থাপনের সম্ভাবনা ও কৌশল সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো, অনিবাসী বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসিত অর্থ (রেমিটেন্স) দেশে উৎপাদনমুখী বিনিয়োগের লক্ষ্যে তাদের উৎসাহিত এবং বিনিয়োগ ও ব্যবসার প্রসারের লক্ষ্যে সরকারের অর্পণ করা দায়িত্বও পালন করবে বিভাগীয় বিনিয়োগ ও ব্যবসায় উন্নয়ন সহায়তা কমিটি।

আরএমএম/এনডিএস/এমএস

আরও পড়ুন