মিথ্যা তথ্যে বীজ বাজারজাতে ২ বছরের সাজা
সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ বিল-২০১৯’ পাস হয়েছে। এর ফলে উদ্ভিদের নতুন জাত উদ্ভাবন, উদ্ভাবিত কোনো জাত বা বীজ নিয়ে একতরফা বাণিজ্যের অপব্যবহার রোধ ও বাণিজ্যিক কারণে কোনো জাত বা বীজের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাজারজাত রোধ করা যাবে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠ ভোটে তা পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর আনীত সংশোধনীসহ বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব কণ্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে যায়।
এ বিলে স্থানীয় জনপ্রিয় জাতগুলোকে বিলুপ্তি থেকে সুরক্ষার বিধানসহ উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ ও উন্নয়নে অবদানের জন্য কৃষককের আর্থিক পুরস্কার ও ‘স্বীকৃতি সনদ’ দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া কোনো ব্যক্তি বা কোম্পানি সংরক্ষিত জাতের ভুল নাম ব্যবহার করলে বা জাতের উৎপাদনের দেশ, স্থান প্রজননবিদের নাম ঠিকানা মিথ্যা বা বিকৃত করে বিক্রয়, প্রদর্শন সংরক্ষণ করলে দুই বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। কোম্পানির ক্ষেত্রে মালিক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন মর্মে বিলে বিধান রয়েছে।
বিলে কৃষক ও প্রজননবিদদের অধিকার রক্ষায় ‘উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ’ নামে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার বিধান রাখা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ প্রজননবিদ বা কৃষকের উদ্ভাবিত জাত ও জিএমওকে ‘সংরক্ষিত জাত’ হিসেবে নিবন্ধন করবে। উদ্ভিদের প্রজাতি নির্ধারণও এই কর্তৃপক্ষের কাজ হবে। এই বিলে রাষ্ট্রীয় অর্থ খরচের বিষয় জড়িত থাকা সংবিধানের ৮২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নেয়া হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কৃষকের অধিকার সংরক্ষণ এবং কৃষিক্ষেত্রে মেধাস্বত্ব অধিকার সংরক্ষণের জন্য ‘উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ বিল-২০১৯ প্রণয়ন করা হয়েছে।
এইউএ/এএইচ