পাহাড় কাটা ‘সামাজিক ব্যাধি’: পরিবেশমন্ত্রী
পাহাড় কাটাকে ‘সামাজিক ব্যাধি’ বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। মন্ত্রী বলেন, ‘পাহাড় কাটলে জমির পরিমাণ বাড়ে না, জমির পরিমাণ উল্টো কমে। এটি একটি সামাজিক ব্যাধি।’
শনিবার (২৭ এপ্রিল) চট্টগ্রামের খুলশীতে পরিবেশ অধিদফতরের গবেষণাগার পরিদর্শন শেষে কর্মকর্তা কর্মচারীদের মতবিনিময়ে সভায় মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। এ সময় পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালীদের ছাড় না দেয়ার ঘোষণা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রামে পাহাড় কাটার সঙ্গে প্রভাবশালীরা জড়িত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না।’
তিনি বলেন, ‘অবৈধভাবে পাহাড়-টিলা কেটে পরিবেশের ক্ষতি করা চলবে না। লিজ নেয়া পাহাড়ে অবৈধভাবে স্থাপনা করলে তা বন্ধ করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে সামান্যতম ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর চট্টগ্রামকে টিকিয়ে রাখতে হবে। সামান্য লোভে যাতে পরিবেশের বড় ক্ষতি না হয়, সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন। তাহলে কেউ পরিবেশের ক্ষতি করার সাহস পাবে না। অভিযান করুন, পরিদর্শনে যান। কারখানাগুলো পরিদর্শন করে যারা ক্ষতিকর বর্জ্য নদীতে ফেলছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।’
উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আইনি বিষয় আইনিভাবে মোকাবেলা করুন। কেউ যদি আদালতের আশ্রয় নেয় তাহলে আপনারাও বসে না থেকে আদালতে যান। সেখানে বিষয়টি সুরাহা করুন। আদালত, সরকার সবাই পরিবেশবান্ধব এবং পরিবেশ রক্ষায় বদ্ধপরিকর।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার ও সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন, পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, উপ-পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার, সহকারী পরিচালক মুক্তাদির হাসান, বদরুল হুদা প্রমুখ।
আবু আজাদ/এমআরএম/এমকেএইচ