ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

টিআইবির প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা চাইবে শ্রম মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:২৭ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০১৯

নতুন কাঠামোতে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বাড়েনি, উল্টো ২৬ শতাংশ কমেছে বলে দেয়া প্রতিবেদনের বিষয়ে টিআইবির কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।

জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উদযাপন নিয়ে শনিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

গত ২৩ এপ্রিল ‘তৈরি পোশাক খাতে সুশাসন : অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি ওই প্রতিবেদনে বলেছে, আইন অনুযায়ী প্রতিবছর পাঁচ শতাংশ হারে মজুরি বাড়ানোর নিয়ম রয়েছে। এ হিসাবে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বাড়েনি, বাস্তবিক অর্থে সার্বিকভাবে ২৬ শতাংশ কমানো হয়েছে।

টিআইবির এ প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৩ সালে আমরা যখন মজুরি কাঠামো দেই, তখন শেষ পর্যন্ত বার্গেনিং প্রধানমন্ত্রীই করেন। মালিকরা তো মজুরি বাড়াইতেই চান না। সেই সময় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয় ৫ হাজার ৩০০ টাকা। ওই সময়ই প্রথম ৫ শতাংশ করে ইনক্রিমেন্ট যোগ করেছি।’

তিনি বলেন, ‘এবার মজুরি ৫ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ৮ হাজারে উন্নীত হয়েছে। এটাও কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে হয়েছে। আমি এবার আসার পর দেখলাম মজুরি ঘোষণা নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ আছে। আমি দেখলাম ৩, ৪, ৫ নম্বর গ্রেড পর্যন্ত মজুরি হিসাব অনুযায়ী কমে গেছে, বাড়েনি। আমরা এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিয়ে যাই এবং মালিকরাও সম্মত হয়। পরবর্তী সময়ে ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট যোগ করে দেয়া হয়। কিছু কিছু জায়গায় বাড়তিও দেয়া হয়। মূল বেতন ৮ হাজারের সঙ্গে বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ও যাতায়াত ভাতা যোগ হবে।’

 

‘টিআইবি বলেছে কত পার্সেন্ট কমে গেছে, আমি তো বুঝলাম না’ বলেন মন্নুজান সুফিয়ান।

টিআইবি মূল বেতনের ওপর ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট হিসাব করে প্রতিবেদন দিয়েছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগের ন্যূনতম মজুরি ২০১৪ সালে শুরু হয় ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত (চার বছর) ছিল।’

এ অবস্থায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে টিআইবির কাছে কোনো ব্যাখ্যা চাওয়া হবে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমরা চাইব। কেন চাইব না। শ্রমিক ঠকুক, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা তো এটা কোনোদিনও মেনে নেবেন না।’

এ সময় পোশাক শ্রকিদের ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি ফজলুল হক মন্টু জানান, পাঁচ বছর পর পর ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার কথা থাকলেও এবার এক বছর আগেই পোশাক শ্রমিককের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রমিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে টিআইবির রিপোর্টের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায় বলেন, ‘পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির প্রথম গেজেটটি ত্রুটিপূর্ণ ছিল, সেটি পরে সংশোধন করা হয়। কিন্তু টিআইবি সেই রিপোর্টটি ধরে তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।’

এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব উম্মুল হাছনা উপস্থিত ছিলেন।

আরএমএম/এনডিএস/এমকেএইচ

আরও পড়ুন