সবজিবাহী যানে চাঁদাবাজির কথা স্বীকার মন্ত্রীর
রাজধানী ঢাকা শহবে সবজি নিয়ে আসা যানবাহনে চাঁদাবাজির কথা স্বীকার করলেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘সরকার এটি নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।’
বৃহস্পতিবার সংসদে সংরক্ষিত আসনের আদিবা আঞ্জুম মিতার সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী চাঁদাবাজির এ কথা স্বীকার করেন। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির অনুপস্থিতিতে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন। মিতা তার সম্পূরক প্রশ্নে জানতে চান, ‘ঢাকার বাইরে থেকে সবজি আনার সময় বিভিন্ন জায়গায় চাঁদা আদায় করা হয়। এতে ঢাকায় এসে দাম বেড়ে যায়। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে কি না?’
জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চাঁদাবাজির বিষয়টি মনিটরিং করে আসছে। বিভিন্ন পরিবহন শ্রমিক সংগঠন নানা কারণে চাঁদা সংগ্রহ করে। সবজি পরিবহনের সময় চাঁদা আদায়ের বিষয়টিতে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না। এটা সত্য যে, কিছু কিছু পয়েন্টে চাঁদাবাজি হয়। চাঁদা আদায়ের ঘটনা ঘটছে। সেগুলো নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
নুরুন্নবী চৌধুরীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘রমজানকে কেন্দ্র করে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক হবে না।’
গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ভোজ্য তেলের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ১৮ লাখ টন। এ চাহিদা পূরণে প্রতি বছর ১৬ থেকে ১৭ লাখ টন অপরিশোধিত ভোজ্য তেল আমদানি করা হয়ে থাকে।’
বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘দেশের সাড়ে ১৬ কোটি জনসংখ্যার জন্য প্রতিদিন ৫০৯ গ্রাম হিসাবে বছরে ৩০৬ লাখ ৫৫ হাজার টন খাদ্যশস্যের চাহিদা আছে। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩১৯ লাখ ২৬ হাজার টন চাল ও ৯ লাখ ৩৪ হাজার টন গম উৎপাদিত হয়েছে। বর্তমানে চাহিদার চেয়ে বেশি খাদ্যশস্য উৎপাদন হয় বিধায় খাদ্যের কোনো ঘাটতি নেই।’
এইচএস/এনডিএস/এমকেএইচ