শিগগিরই ‘লবণ উন্নয়ন বোর্ড’
লবণ চাষিদের সুরক্ষা ও এ শিল্পের উন্নয়নে শিগগিরই ‘লবণ উন্নয়ন বোর্ড’ গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
তিনি বলেছেন, এ বোর্ডে লবণ শিল্পসংশ্লিষ্ট সব প্রতিনিধিত্ব থাকবে।
মঙ্গলবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির নেতারা শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি নূরুল কবির, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মোতাহেরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ওমর ফারুক মিঠু, কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুস সুকুর, আবু হানিফ ভূঁইয়া, মীর আহমেদ, মো. কামাল শরীফ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধান ডা. মো. আখতারুজ্জামান, বিসিকের পরিচালক (প্রকল্প) আতাউর রহমান ছিদ্দিকী, সর্বজনীন আয়োডিনযুক্ত লবণ প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. শফিকুল আলমসহ মালিক সমিতির অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে লবণ মিল মালিক সমিতির নেতারা বলেন, লবণ আমদানিতে শতকরা ৯৩ শতাংশ শুল্ক পরিশোধ করতে হলেও একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী মাত্র ৩২ শতাংশ শুল্কে সোডিয়াম সালফেট আমদানি করে তা প্যাকেটজাত লবণ হিসেবে বাজারে বিক্রি করছে। এর ফলে প্রকৃত লবণ মিল মালিক ও লবণচাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একই সঙ্গে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে এবং জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে। তারা আসন্ন বাজেটে বাণিজ্যিকভাবে সোডিয়াম সালফেট আমদানির ক্ষেত্রে শতভাগ শুল্কারোপের জন্য এনবিআরের কাছে সুপারিশ করতে শিল্পমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একই সঙ্গে তারা কস্টিক সোডা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে যাচাই-বাছাই করে লবণ আমদানির পরিমাণ নির্ধারণের তাগিদ দেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশীয় লবণচাষিদের স্বার্থ সুরক্ষা সরকারের দায়িত্ব। লবণচাষিদের বাঁচাতে সরকার সম্ভব সব ধরনের নীতি সহায়তা দেবে। শুল্ক সুবিধা নিয়ে সোডিয়াম সালফেট আমদানি করে তা ভোজ্য লবণ হিসেবে বাজারে বিক্রি বন্ধ করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ লক্ষ্যে শিগগিরই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে বলে প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করেন মন্ত্রী। একই সঙ্গে এ বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব শিল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য মালিক সমিতির প্রতি পরামর্শ দেন তিনি।
এসআই/জেডএ/জেআইএম