উবারের গাড়ি ভাড়া নিয়ে ফেনসিডিল পাচার
অন্যের প্রাইভেটকার ভাড়ায় নিয়ে ফেনসিডিলের চালান নিয়ে ঢাকায় ঢুকছিলেন তিন মাদকব্যবসায়ী। সাভারের হেয়ায়েতপুরে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুতগতিতে প্রাইভেটকার চালিয়ে চেকপোস্ট ওভারটেক করেন চালক মাদকব্যবসায়ী আলম মিয়া।
দ্রুতগতির কারণে ৪টি সিএনজি ও ৫/৬টি রিকশাকেও ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানাধীন তালতলা এলাকায় গোলাগুলি পর র্যাবের হাতে ধরা পড়েন আলম মিয়া।
র্যাব-২ বলছে, আলম মিয়া পেশাদার মাদকব্যবসায়ী। অ্যাপভিত্তিক পরিবহনসেবা উবারের গাড়ি ভাড়ায় নিয়ে তিনি ইয়াবা ও ফেনসিডিলের চালান কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পাঠিয়ে আসছিলেন।
র্যাব-২ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের কাছে গোপন তথ্য ছিল সকালে ফেনসিডিলের বড় একটি চালান ঢাকায় ঢুকবে। ওই খবরে আমরা রাজধানীর পৃথক তিনটি স্থানে চেকপোস্ট বসায়। সকাল ৯টার দিকে ওই প্রাইভেটকার সাভারের হেমায়েতপুরে পৌঁছলে চেকপোস্ট দেখতে পেয়ে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে যায়। এ সময় এ বি সিদ্দিক নামে এক র্যাব সদস্য আহত হন।
তিনি বলেন, গাবতলীর কাছে আসার পর প্রাইভেটকারে থাকা তিনজনের মধ্যে মো. রহমান নামে এক মাদকব্যবসায়ী নেমে যান। এরপর মিরপুর থেকে মাজার রোড হয়ে আগারগাঁও অভিমুখে গাড়িটি দ্রুতগতিতে চলতে থাকে। দ্রুত গতির কারণে মাদকব্যবসায়ীদের ব্যবহৃত ওই প্রাইভেটকার রিকশা ও সিএনজিকে ধাক্কা মারে।
‘সকাল পৌনে ১০টার দিকে শেরেবাংলা নগর তালতলা মুক্তি হাউজিং এলাকায় র্যাব সদস্যরা গাড়িটি আটকে দেয়। দুই মাদকব্যবসায়ী গাড়ি থেকে নেমেই র্যাব সদস্যদের ওপর গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও গুলি ছুড়লে মো. আলম মিয়া আহত হন। আরেকজন পালিয়ে যান ‘- যোগ করেন লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
অস্ত্র ও গুলিসহ আলম মিয়া আটকের পর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটিসহ(ঢাকা মেট্রো-গ ২১ ৯৪২৩) শতাধিক বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।
র্যাব-২-এর সিও বলেন, ওই প্রাইভেটকারটি মালিক মিরপুরের জনৈক উবারের চালক রুমির কাছ থেকে ভাড়া নেন আটক আলম মিয়া। তিনি উবারের ওই গাড়িতে করে মাদক সরবরাহের কাজ করে আসছিলেন।
আলম মিয়াসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা থানায়, মাদক, র্যাব সদস্যদের ওপর হামলা ও অস্ত্র আইনে তিনটি পৃথক মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জেইউ/জেএইচ/পিআর