সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করুন, যেন বিদেশিরা বারবার আসে
বিদেশি পর্যটকরা বাংলাদেশে এলে তারা যেন আনন্দঘন পরিবেশে নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারে সে জন্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের অপরূপ নৈস্বর্গিক সৌন্দর্য দেখার জন্য বিদেশি পর্যটকদের বাংলাদেশে আসতে বলেছেন।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) নবম ভ্রমণ ও পর্যটন মেলা (বিটিটিএফ)-২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড, এফবিসিসিআই, পর্যটন পুলিশ, পিএটিএ বাংলাদেশ চ্যাপ্টার ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সহযোগিতায় ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিওএবি) তিন দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করেছে।
টিওএবির সভাপতি তৌফিক উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তসলিম আমিন শোভন। স্বাগত বক্তব্যের পর বাংলাদেশের পর্যটনের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, বেসরকারি সামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আতিকুল হক, ট্যুরিজম বোর্ড চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান খান কবির ও বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ভূবন চন্দ্র বিশ্বাস।
রাষ্ট্রপতি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুয়াকাটা, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, হিমছড়ি, সিলেট চা বাগান, ময়নামতি, বগুড়ার মহাস্থান গড়সহ বাংলাদেশে যতগুলো পর্যটন কেন্দ্র আছে সেগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। এছাড়া আরও সেসব সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র সৃষ্টি করতে হবে পৃথিবীর ভ্রমণপিপাসু মানুষ একবার বাংলাদেশে আসলে যেন বাববার আসতে চায়।
তিনি বলেন, পর্যটকদের সঙ্গে এমন ব্যবহার করতে হবে যাতে যারা একবার আসবে তারাই যেন বাংলাদেশের পর্যটন নিয়ে প্রচার করে এবং সেদেশের মানুষকে বাংলাদেশে আসার জন্য উদ্বুদ্ধ করে। এ ধরনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে বাংলাদেশে আরও অধিক পর্যটক আসবে। তখন দেশে আরও নতুন নতুন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠবে। বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পর্যটন কর্পোরেশন গঠন করেন। এ খাতকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে তিনি নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তার কন্যা শেখ হাসিনা পর্যটন খাতকে শক্তিশালী করতে এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নানা সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছেন। তিনি আশা করেন অচিরেই বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পে আরও এগিয়ে যাবে এবং পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে।
এফএইচএস/বিএ