যান্ত্রিক নগরী ঢাকার সূর্যাস্ত কম সুন্দর নয়!
রাজধানীবাসীর কাছে যান্ত্রিক নগরী হিসেবে সুপরিচিত ঢাকা। ইট-পাথরের বহুতল ভবন, বাণিজ্যিক কেন্দ্র, শপিংমল ও নিত্যদিনের হাজারো যানবাহনের যানজটের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে দিন কাটাতে হয় বলে ঢাকা শহরকে যান্ত্রিক নগরী বিশেষণে বিশেষায়িত করা হয়।
নগর বাসিন্দাদের অনেকেই ছুটি কাটাতে ছুটে যান নাড়ির টানে গ্রামের বাড়ি কিংবা কোনো অবসর কেন্দ্রে। অনেকেই সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে ছুটে যান সমুদ্রকন্যা কক্সবাজার কিংবা কুয়াকাটায়। চাকরি, ব্যবসা কিংবা অন্য কোনো পেশাগত ব্যস্ততায় কখনো ভেবেও দেখার সময় পান না যে, এ যান্ত্রিক নগরীতেও সুন্দর সূর্যাস্তের দৃশ্য অবলোকন করা যায়। এছাড়া ডালে ডালেও পাখির কিচিরমিচির শব্দ শোনা যায়।
১৬ এপ্রিল (মঙ্গলবার)। রাজধানীর ব্যস্ততম নিউমার্কেট এলাকার মার্কেট বন্ধ। এ কারণে রাস্তাঘাট ফাঁকা। বিকেল গড়িয়ে আসতে দেখা গেল, নিউমার্কেট পোস্ট অফিসের বিপরীত দিকে একটি বহুতল ভবনের ওপর ডিমের কুসুমের মতো টকটকে লাল সূর্য। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে টকটকে লাল সূর্য ডুবে গেল ভবনটির পেছনে। এক অপরূপ দৃশ্য।
এরে আগে ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের দিনে সন্ধ্যার আগেই ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবর থেকে নিরাপত্তাজনিত কারণে আগত অসংখ্য নারী-পুরুষ ও শিশু নিরুপায় হয়ে লেকের পাড়ে হাঁটাহাঁটি করতে থাকেন। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে মসজিদ থেকে মাগরিবের আজান ভেসে আসে। এ সময় লেকের পাড়ে গাছের ওপর অসংখ্য পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয়ে ওঠে।
অনেকেই তখন বলছিলেন, একেবারে গ্রামীণ এক পরিবেশ। জীবন-জীবিকার তাগিদে আমরা কেবল ছুটে চলেছি, যান্ত্রিক নগরীতে বসবাস করেও যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়, তা ভেবে দেখার ফুরসত মেলে না কারও।
এমইউ/জেএইচ/এমএস