তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সুনির্দিষ্ট করারোপ দাবি
তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সুনির্দিষ্ট করারোপ এবং সকল ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য উৎপাদনকারীদের করজালের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছে তামাকবিরোধী বিভিন্ন সংগঠন।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরো, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি এবং বাংলাদেশে তামাকবিরোধী জোট এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
বক্তারা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের যে সকল দেশের মধ্যে তামাকপণ্য সস্তা তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। তামাক কোনো মৌলিক প্রয়োজনীয় দ্রব্য নয় বরং স্বাস্থ্যহানীকর বিলাসবহুল পণ্য, যা ভোক্তাদের মৃত্যু ডেকে আনে। কাজেই এ ধরনের পণ্য ব্যবহারের নিরুৎসাহিতকরণ এবং জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে এটির ওপর উচ্চহারে কর আরোপ করা জরুরি।
বাজেট প্রস্তাবে বক্তারা বলেন, সিগারেটের মূল্যস্তর ৪টি থেকে কমিয়ে ২টি নির্ধারণ করা এবং উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরকে একত্রিত করে আরেকটি মূল্যস্তরে (উচ্চস্তর) নিয়ে আসা। বিড়ির মূল্য বিভাজন তুলে দিয়ে ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ৬ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা এবং ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২৮ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ৪.৮ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা।
ট্যারিফ ভ্যালু প্রথা বিলুপ্ত করে সিগারেট ও বিড়ির ন্যায় খুচরা মূল্যের ভিত্তিতে করারোপ করা, প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৩৫ টাকা এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ২০ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা এবং প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার ওপর ৫ টাকা ও প্রতি ১০ গ্রাম গুলের ওপর ৩ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপের দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক, মাদকবিরোধী সংগঠন প্রত্যাশার সাধারণ সম্পাদ হেলাল আহামেদ, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির প্রকল্প পরিচালক গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এএস/এমএসএইচ/জেআইএম