রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বৈশাখী মেলা
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বসেছে বৈশাখী মেলা। হরেক পণ্যের পসরায় রোববার নববর্ষের দিন শুরু হওয়া এসব মেলা চলবে আরও কয়েকদিন।
শুধু পণ্যের পসরাই নয়, মেলাতে রয়েছে বিনোদনের নানা অনুসঙ্গও। ডেমরার সারুলিয়া, যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া, ধূপখোলাসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বৈশাখী মেলা দেখা গেছে।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) ও বাংলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ‘বৈশাখী মেলা-১৪২৬’ এর আয়োজন করা হয়।
যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উত্তর পাশে মেলা ঘুরে দেখা গেছে, মেলায় মাটির জিনিসপত্র বিক্রি হচ্ছে। মাটির আম, কাঁঠাল, আপেল, পেঁপে, কামরাঙ্গা, কলা, ডালিম ঘোড়া, হাতি, গরু, হাতি, বক, সরা, পাতিল, পুতুলসহ বিভিন্ন জিনিস বিক্রি হচ্ছে মেলায়।
বিক্রি হচ্ছে পিস্তল, ভুভুজেলা, বাঁশি, পুতুল, ঝুনঝুনি, প্লাস্টিকের হাড়ি-পাতিলসহ শিশুদের বিচিত্র সব খেলনা।
এ ছাড়া চুড়ি, চুলের ব্যান্ড, চেইন, মালা, লিপস্টিক, নেইল পলিশসহ নারীদের নানা রকম অলঙ্কার বিক্রি হচ্ছে মেলাগুলোতে। সেইসঙ্গে মুড়ি-মুড়কি, বাতাসা, মোয়া, লাড্ডু, কদমাসহ বিভিন্ন মিষ্টান্ন বিক্রির দোকানও রয়েছে মেলায়। মেলায় শিশুদের ট্রেন, নাগরদোলাও দেখা গেছে।
স্থানীয় গোবিন্দপুর থেকে শনির আখড়া মেলায় এসেছে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র রাকিব উদ্দিন। সে বলে, বাসার কাছেই তাই একাই চলে এসেছি। আমি ট্রেনে উঠেছি। বাসায় যাওয়ার সময় কদমা নিয়ে যাব।
এখানকার মেলার দোকানদার সুমন বিশ্বাস বলেন, ‘আয়োজকরা বলেছেন মেলা ৭ দিন থাকবে। আমি খেলনা ও অলঙ্কারের দোকান দিয়েছি। দুপুরের দিকে গরমের কারণে তেমন কাস্টমার হয়নি। বিকেলের পর থেকে বেশ ভিড় বাড়ছে। বেচাকেনাও ভালো।’
স্থানীয় শেখদী এলাকার রিকশাচালক রশিদ মিয়া তার চার বছরের মেয়েকে নিয়ে এসেছেন মেলায়। তিনি বলেন, ‘মেলায় আইব বইলা কান্দাকাটি করতাছে, কী করমু আর লইয়া আইছি। বাঁশি কিনা দিচ্ছি, মোয়া কিনা দিচ্ছি, অহন ঠান্ডা হয়ছে।’
আরএমএম/এনডিএস/জেআইএম
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি এ সপ্তাহে, ক্যাডার-ননক্যাডারে পদ ৩৭০১
- ২ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ, ওষুধে ব্যয় ২০ শতাংশ
- ৩ জাপান গার্ডেন সিটিতে বিষ প্রয়োগে কুকুর হত্যার অভিযোগে থানায় জিডি
- ৪ ‘রক্তের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ যেন হারিয়ে না যায়’
- ৫ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক