ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

শাহজালালের কোথায় হচ্ছে ‘সৌদি হজ ইমিগ্রেশন এক্সক্লুসিভ জোন’?

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ১২:৪৯ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০১৯

আসন্ন হজে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন জেদ্দা বিমানবন্দরের পরিবর্তে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্পন্ন হবে।

বাংলাদেশ সফরে আসা সৌদি আরবের ১৪ সদ‌স্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও আশকোনা হজ ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সেদিন সন্ধ্যায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তারা এ সম্মতির কথা জানান।

এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে হজযাত্রীদের অনেকেই জানতে চেয়েছেন- শাহজালাল বিমানবন্দরের কোথায় হবে সৌদি হজ ইমিগ্রেশন এক্সক্লুসিভ জোন? ওই জোনের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে? বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন অফিসাররা ইমিগ্রেশন-সংক্রান্ত কাজে সৌদি আরবের লোকজনকে সহায়তা করবে কি-না।

এ বিষয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় তলায় উত্তর দিকে ১১ এবং ১১/এ গেট এলাকাটি হজ চলাকালীন সময়ে সৌদি ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের এক্সক্লুসিভ জোন হিসেবে ব্যবহৃত হবে। সৌদি কর্তৃপক্ষ তাদের নিজ খরচে ইমিগ্রেশন-সংক্রান্ত সকল প্রকার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপন করবে। হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন করার জন্য তারাই প্রয়োজনীয় নিজস্ব জনবল নিয়োগ দেবে।

তিনি জানান, এলাকার নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণরূপে সৌদি কর্তৃপক্ষের হাতে থাকবে। যতদিন হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন চলবে ততদিন বাংলাদেশের কেউ চাইলেও বিনা অনুমতিতে এক্সক্লুসিভ জোনে প্রবেশ করতে পারবেন না। হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন সম্পূর্ণভাবে শেষ হওয়ার পর সৌদি কর্তৃপক্ষ এক্সক্লুসিভ জোনের স্থানটি বাংলাদেশের কাছে বুঝিয়ে দেবে।

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার জনসহ মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশি হজযাত্রীর হজে যাওয়ার কথা রয়েছে।

মোট হজযাত্রীর শতকরা ৫০ ভাগ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও অবশিষ্ট ৫০ ভাগ সৌদি এয়ারলাইন্স পরিবহন করে। গত বছর পর্যন্ত বাংলাদেশ বিমানের হজযাত্রীদের আশকোনা হজ ক্যাম্পে এবং সৌদি এয়ারলাইন্সের যাত্রীদের ইমিগ্রেশন শাহজালাল বিমানবন্দরে সম্পন্ন হতো।

নতুন নিয়মে একইভাবে বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে হজযাত্রীরা সৌদি এক্সক্লুসিভ জোনে অবস্থান করবেন। সেখানে সৌদি অংশের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে তারা স্ব স্ব বিমানে করে সৌদি আরব যাবেন। সৌদি অংশের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর এক অর্থে হজযাত্রীরা শারীরিকভাবে না হলেও কাগজে-কলমে সৌদি আরব চলে গেছেন বলে গণ্য হবে।

জেদ্দা বিমানবন্দরের পরিবর্তে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হওয়ার কারণে জেদ্দা বিমানবন্দরে হজযাত্রীদের ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা বিলম্বের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবেন।

সৌদি ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাদের কাজের সুবিধার্থে হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার আগেই বাংলাদেশের সকল হজযাত্রীর দশ আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করবে। এজন্য আসন্ন রমজানের মধ্যভাগ থেকে সৌদি আরবের নিজস্ব কারিগরি দল দেশের আট জেলার ডিসি অফিসে হজযাত্রীদের দশ আঙুলের হাতের ছাপ সংগ্রহের কাজ শুরু করবেন।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও দেশের আট জেলার ডিসি অফিসে সৌদি প্রতিনিধি দলের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব পালন করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

জেদ্দার পরিবর্তে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে কত সময় বিলম্ব হবে জানতে চাইলে ধর্ম সচিব আনিসুর রহমান বলেন, আগে থেকেই দশ আঙুলের ছাপ সংগ্রহ ও পাসপোর্ট স্ক্যান করে রাখাসহ আনুষঙ্গিক সকল কাজ সম্পন্ন করে রাখার কারণে ইমিগ্রেশন কাজে বিলম্ব হবে না।

তবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার পর বাংলাদেশ তৃতীয় দেশ হিসেবে জেদ্দার পরিবর্তে নিজস্ব বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন করার সুযোগ লাভ করছে। নতুন একটি পদ্ধতি চালু হওয়ায় প্রথমবারের মতো কিছুটা বিলম্ব হতে পারে।

এমইউ/এমবিআর/জেআইএম

আরও পড়ুন