নুসরাত হত্যার বিচারের দাবিতে পদযাত্রা করবে গৌরব ৭১
যৌন হয়রানির অভিযোগ করায় আগুনে পুড়িয়ে নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে, যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রার আয়োজন করেছে গৌরব ৭১।
আগামীকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০টায় রাজধানীর শাহবাগ থেকে জাতীয় শহীদ মিনার অভিমুখে এ পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। এতে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন।
গৌরব ৭১ এর সভাপতি এফ এম মনিরুল ইসলাম মনি বৃহস্পতিবার দুপুরে জাগো নিউজকে বলেন, কার ইন্ধনে সেনাগাজীর এসব লোকজন ধর্ষকের মুক্তির দাবিতে রাস্তায় কর্মসূচি পালনের সাহস পায়? তাদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
সংগঠনটির সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান রোমেল জাগো নিউজকে বলেন, এই ধর্ষক-খুনি এবং তার মদদদাতা ও দোসরদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। যাতে আর কেউ ধর্ষণের মতো গর্হিত অপরাধ সংগঠিত করার সাহস না দেখায়।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীন বলেন, মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদ, সোনাগাজীর পুলিশ প্রশাসন, সোনাগাজী আওয়ামী লীগ, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থেকেও যারা ধর্ষক-খুনি সিরাজ উদ দৌলার পক্ষ অবলম্বন করেছে, তারা শুধু এই ন্যাক্কারজনক অপরাধের দোসরই না, তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশকেও অমান্য করেছে। এ মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে এনে ধর্ষক-খুনি এবং তার পক্ষ অবলম্বনকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহান রাফিকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। ওই ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে।
এ ঘটনায় রাফির মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। গত ৬ এপ্রিল (শনিবার) সকালে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যান নুসরাত। এ সময় মাদরাসার এক ছাত্রী তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের উপর কেউ মারধর করছে- এমন সংবাদ দিলে তিনি ওই বিল্ডিংয়ের চার তলায় যান।
সেখানে মুখোশ পরা চার-পাঁচজন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। নুসরাত এতে অস্বীকৃতি জানালে তারা তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
চার দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বুধবার (১০ এপ্রিল) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাত জাহান রাফির মৃত্যু হয়।
এইচএস/এমএসএইচ/আরআইপি