ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বিআরটিএর ৫ অফিসে দুদকের অভিযান

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৭:৫২ পিএম, ০৯ এপ্রিল ২০১৯

ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদান, লাইসেন্স নবায়ন, গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন, ডিজিটাল নাম্বার প্লেট প্রদান ইত্যাদি নানাবিধ সেবাপ্রাপ্তিতে ঘুষ-দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের দেশব্যাপী পাঁচ জেলায় বিআরটিএ কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট ঢাকা, হবিগঞ্জ, বগুড়া, বরিশাল এবং টাঙ্গাইল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এসব অভিযান পরিচালনা করে।

দুদক সূত্র জানায়, অভিযানে সেবাপ্রদানের বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতি, অনিয়ম, দায়িত্বে অবহেলা ও বিশৃঙ্খলার প্রমাণ পায় দুদক টিম। রাজধানীর বিআরটিএ, ইকুরিয়া কার্যালয়ে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) নূরুল ইসলাম ও হারুন অর রশিদ, মোটরযান পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান, উচ্চমান সহকারী ছগির আকন্দ, অফিস সহকারী মো. আজিম ও আনসার সদস্য সৈয়দ হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এদিকে বগুড়া বিআরটিএ কার্যালয়ে অভিযান চলাকালে চার দালালকে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের প্রত্যেককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। একইভাবে জাতীয় অপরাধে হবিগঞ্জে দুদক টিমের অভিযানকালে এক দালালকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড ও একজনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অনুরূপভাবে বরিশাল ও টাঙ্গাইলের বিআরটিএ অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুদক টিম। এসময় দুদক টিমের উপস্থিতি টের পেয়ে দালালরা পালিয়ে যায়।

অন্যদিকে রোগীদের হয়রানি ও যথা নিয়মে ওষুধ প্রদান না করার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশিপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসে অভিযান চালায় দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম। সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে উপসহকারী পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিককে দফতরে অনুপস্থিত পায়।

এছাড়া উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে উপস্থিত রোগীরা দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করেন। তাদের দুজনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে।

পাবনায় ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে আত্রাই নদী খননের কাজে উত্তোলিত মাটি নদীর ৪০০ ফুট দূরে ফেলার নির্দেশনা অনুসৃত হচ্ছে না, দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে পাওয়া এমন এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়েছে দুদক পাবনা জেলা।

অভিযানকারী টিম দেখতে পায়, যথা নিয়মে কাজ না করে নদীর পার্শ্ববর্তী স্থানেই মাটি ফেলে সরকারি অর্থের অপচয় সাধন করা হচ্ছে। এ অনিয়মের অভিযোগে ওই কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। টিম সংশ্লিষ্ট সব নথিপত্র সংগ্রহ করে। যাচাই-বাছাইপূর্বক পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য প্রতিবেদন কমিশনের কাছে উপস্থাপন করা হবে।

এমইউ/জেএইচ/এমএস

আরও পড়ুন