মন্ত্রণালয়ে মাশরাফি, লেগে গেল ভিড়
সচিবালয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলেন সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
মঙ্গলবার দুপুরে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান তিনি।
মাশরাফি বিন মর্তুজা যাওয়ার খবরে পানিসম্পদ উপমন্ত্রীর দফতরের সামনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভিড় জমে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মাশরাফি। তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় নদীভাঙন সমস্যা নিয়ে উপমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের জাগো নিউজকে বলেন, ‘উনি (মাশরাফি বিন মর্তুজা) দুটি ডিও লেটার (আধা-সরকারিপত্র) নিয়ে এসেছিলেন। একটি ছিল, ওনার নির্বাচনী এলাকা নড়াইলের মধুমতি ও চিত্রা নদী ড্রেজিং এবং নদীর পাড় সংরক্ষণের বিষয়ে। আরেকটি ডিও লেটার ছিল চিত্রা নদীর নড়াইল শহরের অংশে ঢাল সংরক্ষণের বিষয়ে।’
‘চিঠিতে তিনি মধুমতি নদীর শিয়ারপুর, মল্লিকপুর, ঘাঘা অংশে ভাঙন শুরু হয়েছে বলে উল্লেখ করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপমন্ত্রী পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন যে, যেখানে ভাঙন শুরু হয়েছে সেখানে দ্রুত আপদকালীন ব্যবস্থা নিন। এ ছাড়া স্টাডি করে ড্রেজিং ও নদীর পাড় সংরক্ষণের জন্য কীভাবে দ্রুত কাজ শুরু করা যায় সেই নির্দেশনাও দিয়েছেন উপমন্ত্রী’- বলেন আবু নাছের।
জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, মাশরাফি বিন মর্তুজাকে উপমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি রাজনীতিতে নতুন, আপনি দেশের গর্ব। আপনার মতো মেধাবীরা যাতে রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হয় সেজন্য সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করব।’
উপমন্ত্রীর দফতর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বারান্দায় ভিড় জমানো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ছবি তোলেন মাশরাফি।
সচিবালয়ে আজ ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ’র সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন মাশরাফি।
এর আগে এলাকার উন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং স্থানীয় সরকার, সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের সঙ্গে গত ৩ এপ্রিল সাক্ষাৎ করেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।
সেদিন মাশরাফির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিকবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সৌমেন চন্দ্র বসু। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘এলজিইডি প্রতিমন্ত্রীর কাছে নড়াইলের ১৬০টি মাটির রাস্তা উন্নয়নের তালিকা দিয়েছেন মাশরাফি। ইতোমধ্যে ৭০টি পাকা করার অনুমোদন হয়েছে। এ ছাড়া এলজিইডি অফিসের অধীনে প্রায় ২০ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ প্রদান করা হচ্ছে।’
আরএমএম/জেডএ/এমএস