ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বাংলাদেশ থেকে গৃহকর্মী নেবে না সৌদি আরব

প্রকাশিত: ০৮:০৬ এএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশ থেকে গৃহকর্মী নিয়োগ বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় দেশটির নিয়োগ সংক্রান্ত কার্যালয়গুলো এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর আরব নিউজের।

এছাড়া দেশটি এখন নেপাল থেকে গৃহকর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এ বিষয়ে শিগগিরই দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে সৌদি আরবের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

সৌদি নিয়োগ বিশেষজ্ঞ ইব্রাহিম আল মেঘাইমিশ জানান, বাংলাদেশ থেকে অল্প সংখ্যক শ্রমিক কাজের উদ্দেশ্যে সৌদিতে আসেন। এসব বাংলাদেশি শ্রমিকদের সৌদি আরবে আনতে জনপ্রতি ব্যয় হয় ৭৭ হাজার ছয় শ` ৬৭ টাকা থেকে এক লাখ ৩৯ হাজার ৮০১ টাকা।

এদিকে, সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয় শ্রমিকদের আনতে জনপ্রতি এক লাখ ৪৪ হাজার ৯৫৪ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। ফলে দেশটিতে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগে ব্যয়ভার বেড়ে গেছে। এক্ষেত্রে শ্রমিক নিয়োগ সংস্থাগুলোর ব্যয়ভার বাড়ছে ৮০ ভাগ।

শ্রমিক নিয়োগে মার্কিন ডলারে ব্যয় ঘোষণা করায় মেঘাইমিশ দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়ের সমালোচনা করেছেন। মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্তে তিনি বিস্মিত বলে জানান। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি মানা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ইব্রাহিম আল মেঘাইমিশ বলেন, সৌদিতে গৃহস্থালি কাজের জন্য বাংলাদেশ থেকে পাঁচ লাখ শ্রমিক আসার তথ্য সত্য নয়। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সপ্তাহে মাত্র চার থেকে ছয় জন শ্রমিক আসে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে শ্রমিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংখ্যা সীমিত। এছাড়া প্রশিক্ষণের ব্যাপ্তিও কম মাত্র চার সপ্তাহ। যার কারণে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগে বিলম্ব হয় এমনকি শ্রমিকদেরকে অনেক সময় ক্ষতির সম্মুখীনও হতে হয়।

নেপালে সৌদি দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা জানান, সৌদি আরবে গৃহকর্মী নিয়োগে নেপালের সঙ্গে শিগগিরই একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এক্ষেত্রে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় দালাল অথবা অন্য কোনো মধ্যস্থতাকারীকে নিয়োগ দেয়া হবে না বলে দাবি করেছে নেপাল সরকার।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, শিগগিরই নেপালের শ্রমমন্ত্রীর সৌদি সফরের সময় এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, সম্প্রতি নেপালের ধারাবাহিক ভূমিকম্পের কারণে দেশটির সঙ্গে সৌদির দ্বিপাক্ষিক আলোচনা বন্ধ ছিল। তিনি বলেন, পুনরায় আলোচনা শুরু হলে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।

এসআইএস/এসএইচএস/পিআর